পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নজর পড়েছে সুজিতের পরিবারের উপর। সুজিতের স্ত্রী, পুত্র ,কন্যা এমনকি তাঁর জামাইকেও ইডির তরফে তলব করা হয়েছে। বুধবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁর বক্তব্য, ‘যদি না যায়, তাহলে তো বলবে পালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি পালাবার লোক নন।
একের পর এক পরিবারের সদস্যকে তলব করছে ইডি। মঙ্গলবার সুজিতের কন্যা সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন। তার আগের দিন মোহিনীর প্রাক্তন স্বামী অর্থাৎ সুজিতের জামাইও হাজিরা দেন ইডির দপ্তরে। বুধবারে সুজিতের স্ত্রীকে তলব করেছিলেন ইডি অধিকারিকরা। কিন্তু এদিন তিনি হাজিরা দেননি। ব্যক্তিগত কিছু কারণ দেখিয়ে ইডি আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সুজিত কন্যা মোহিনী বসুকে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সুজিতের পরিবারের সকল সদস্যকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ইডির তরফে। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সুজিত বসু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য কি ইডির তরফে পরিবারকে তলব করা হচ্ছে? এর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে বিষয়টা। তাঁরা গিয়েছেন। তাঁদের কথা বলেছেন। না গেলে তো বলবে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা পালানোর লোক নই।’
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় দমকলমন্ত্রীর। এরপর ইডির তরফে সুজিতের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় একাধিক নথি। বাজেয়াপ্ত করা হয় সুজিত বসুর মোবাইল ফোনও। সম্প্রতি ফের সুজিতের অফিস ও তাঁর ছেলের রেস্তোরাঁয় তল্লাশি চালায় ইডি। বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। সেই সূত্র ধরেই সুজিতের পরিবারকে তলব ইডির।