পার্থ চৌধুরী: ফের বিভ্রান্তি! এবার একজন রোগীর রক্ত,ইউএসজি ও ইসিজির রিক্যুইজেশনের কাগজ অন্য রোগীর আত্মীয়কে দেওয়ার অভিযোগ। আবার সেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই হাই সুগার, বমি ও পেটে ব্যাথা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন জামালপুরের পারাতলের বাসিন্দা দোলন মালিক। HCCU বিভাগের ৫ নং বেড। সোমবার ওই বিভাগেরই ৭ নং বেডে ভর্তি হয়েছেন গলসীর উচ্চগ্রামের বাসিন্দা পুতুল বাগ।
দোলন মালিকের দাবি, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রোগীর নাম ধরে ডেকে রক্ত ইউএসজি ও ইসিজির রিক্যুইজেশনের স্লিপ দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর যথারীতি সেই স্লিপ জমা দেওয়া হয় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। কিন্তু ডোনার না থাকায় রক্ত মেলেনি। এরপর যখন ইউএসজি ও ইসিজির রিক্যুইজেশন স্লিপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যান রোগীর পরিবারের লোকেরা, তখন জানা যায়, ওই স্লিপটি পুতুল বাগের! ঘটনার হতবাক হয়ে যান দোলন মালিকের পরিবারের লোকেরা। শেষে ভুল বুঝতে পেরে অবশ্য কাগজ ফেরত নেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা।
কয়েক সপ্তাহ আগে এই বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজে ভুল রক্তে রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পদবী আলাদা হলেও একই নামের দুই রোগী ভর্তি ছিলেন একই ওয়ার্ডে। একজন নমিতা মাঝি, আরেকজন নমিতা বাগদি। অভিযোগ, নমিতা মাঝি জন্য আনা রক্ত দিয়ে দেওয়া হয় নমিতা বাগদিকে! নমিতা মাঝি রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন। রক্ত না পেয়ে শেষপর্যন্ত মারা যান তিনি।