• বাস্তবের ‘ফির হেরা ফেরি’! কম সময়ে বেশি টাকা পাওয়ার চেষ্টা, প্রতারণা চক্রের খপ্পরে বাংলার বহু
    প্রতিদিন | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: চুঁচুরায় এবার ‘ফির হেরা ফেরি’র গল্প। সিনেমার ধাঁচেই রাজু শ্যাম আর বাবু ভাইয়ার মত টাকা ডবল করার চক্রে ফেঁসেছেন বহু মানুষ। হেলথ সলিউশনের আড়ালে কোটি কোটি টাকার প্রতারনা চক্র। টাকা ফেরত নিতে এসে দেখা গেল অফিস তালা বন্ধ। অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দিলো প্রতারিতরা। ঘটনা হুগলির চুঁচুড়ার খাদিনামোরের।

    হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতারিতরা আসেন খাদিনামোরে ওই চিটফান্ড অফিসে। হেলথ সলিউশন নামে একটি অফিস খুলে তার আড়ালে চলত শেয়ার ট্রেডিং-এর মাধ্যমে অল্প সময়ে বেশি মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার কারবার। গত দু’বছরে বহু মানুষ লাখ লাখ টাকা রেখেছেন ওই সংস্থায়। মাসে কখনও চার এবার কখনো ছয় অথবা বারো শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে সর্বশান্ত হন অনেকেই।

    সেই প্রতারিতরাই বুধবার টাকা আদায় করতে এসে দেখেন সংস্থার অফিসের শাটার বন্ধ। এরপরেই প্রতারিতরা ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। প্রতারিতদের অভিযোগ, চড়া সুদের প্রলোভন ছিলো। তাদের সঙ্গে কোর্ট পেপারে চুক্তি করে টাকা নেওয়া হয়। প্রথম কয়েক মাস সুদের টাকা দিলেও তারপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    প্রতারিতরা ওই সংস্থার কর্নধার তুষার কান্তি মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রতারিত রেজাউল মল্লিক বলেন, “আমাদের সঙ্গে প্রতারনা করা হয়েছে। আসল টাকা ফেরত দিক। আমরা নিজেরা টাকা রেখেছি আবার অন্যদেরকেও রাখতে বলেছি। তারা এখন আমাদের ছাড়ছে না। এর আগেও অফিসে বলতে এসে হুমকির শিকার হয়েছি।” বারাসাতের বাসিন্দা অমিত কুন্ড জানান, “আমি নিজে ২৫ লাখ টাকা রেখেছি। বারসাত থেকে মোট আড়াই কোটি টাকা জমা করেছি। সেই সব টাকা মেরে দিয়েছে এই প্রতারনা চক্র।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)