• তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’, ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রী শোভনদেবের
    প্রতিদিন | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহের বন্দিপুরের যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনায় রহড়া থানার পুলিশের একাংশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এরপরই মঙ্গলবার সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমানো-সহ জুয়া, সাট্টা বন্ধের দাবিতে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মিছিল করে রহড়া থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। তাতে অংশ নেন শাসক দলের একাধিক নেতৃত্ব। আক্রান্ত যুবকের মা মিছিলে অংশ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন, “একজন ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার হল না।”

    এই নিয়ে ফের মুখ খুললেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গলায় শোনা গেল রহড়া থানার পুলিশ প্রতি আস্থা হারানোর সুর। মন্ত্রী বললেন, “লোকাল পুলিশকে কিছু বলব না। যা বলার উপর মহলে বলব।” প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে রহড়া থানার অন্তর্গত খড়দহের বন্দিপুরের ডাঙাদিঘলা এলাকার বাসিন্দা সুরজ খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এলাকায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বর্তমানে ওই যুবক কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার দেখা করতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তখনই আক্রান্তের মা মন্ত্রীর কাছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই পুলিশকে নিশানা করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    ওইদিন তিনি বলেন, “কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে। আক্রান্ত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। হাসপাতালে গিয়ে সবকিছু দেখবে। এটাই তো হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, কিছুই করল না। উল্টে, পুলিশ বলছে মিটমাট করে নিতে! পুলিশ কার দালালি করছে? সমাজবিরোধীদের হয়ে দালালি করবে? পুলিশের তো আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আমি জানি না, এখানে পুলিশের কে এসে একথা বলেছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করে এসেছি খড়দহ বিধানসভা এলাকায় সমাজবিরোধী মুক্ত করতে। কিন্তু, দু-চারজন সমাজবিরোধীর জন্য গোটা এলাকা বদনাম হবে তা মেনে নেওয়া যায় না।” খোদ মন্ত্রীই বারবার পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)