সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হুগলি নদীর বাঁধে বড়সড় ধস! প্রায় ৩০০ ফুট এলাকা জুড়ে নামে এই ধস। যা নিয়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ–২ নম্বর ব্লকের ডোঙারিয়া–রায়পুর পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুরু হয়েছে মেরামতির কাজও। অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেও ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।
ডোঙারিয়া-রায়পুর এলাকায় হুগলি নদীর অস্থায়ী মাটির বাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট এলাকা জুড়ে ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। আকস্মিক এই ভাঙনে ইতিমধ্যেই নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে একটি পাকা বাড়ির বেশ কিছু অংশও। এদিকে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অমাবস্যার ভরা কোটাল। ফলে নদীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় নদীর ধারে থাকা পরিবারগুলি। জলস্তর বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই রাতেই বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি বিষয়টি সবিস্তারে জানান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। এলাকার আতঙ্কিত মানুষকে আশ্বস্তও করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”ডোঙারিয়া রায়পুরের এই বাঁধের জন্য আগেই সাংসদের তৎপরতায় রাজ্য সরকার ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।” যদিও বর্ষায় সেই কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই বরাদ্দ ওই টাকায় বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
অন্যদিকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচদপ্তর। ভাঙন কবলিত এলাকা মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।