• শরিক নেতাকেই আর পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি, তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের, অপারেশন লোটাসের অভিযোগ সিন্ধে-সেনার
    বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • মুম্বই: ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের অন্দরে অস্বস্তি দেখা গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও একনাথ সিন্ধের টানাপোড়েনের নাটক বেশ জমে উঠেছিল। মাঝে এই সংঘাত কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ফের জোটের অন্দরে ফাটল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।  রাজ্যে পুর নির্বাচনের আগে শরিক দল শিবসেনা (সিন্ধে) বিজেপির বিরুদ্ধে অপারেশন লোটাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার জোট সরকারের সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট করেন সিন্ধের দলের মন্ত্রীরা। শাসক শিবিরের এই সংঘাতকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। এনসিপি (এসপি) মুখপাত্র ক্লায়েজ ক্রাস্টো বুধবার বলেছেন, বিজেপির আর একনাথ সিন্ধেকে প্রয়োজন নেই। সেকথা তারা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে জোট থেকে বেরিয়ে আসা উচিত সিন্ধের।

    মঙ্গলবার শিবসেনার মন্ত্রীরা দাবি করেন, পুরভোটের মুখে দল ভাঙাতে গোপনে ‘শিকার’ শুরু করেছে বিজেপি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্র চবন। ডোম্বিভলি থেকে শিবসেনা (সিন্ধে)-র এক নেতাকে দলে টেনেছে বিজেপি। পালঘর, থানে সহ অন্যান্য জেলাতেও একই কায়দায় অপারেশন লোটাস চালানো হয়েছে। এর প্রতিবাদেই মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট করেন তাঁরা। সূত্রে খবর, সমস্যা মেটাতে পরে শিবসেনা মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ফড়নবিশ। কিন্তু সেখানে তিনি সিন্ধে-সেনার বিরুদ্ধেই দল ভাঙানোর অভিযোগ তোলেন। উল্লাসনগরের এক বিজেপি নেতার সিন্ধে শিবিরে শামিল হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    দলের মন্ত্রীরা বৈঠক এড়িয়ে চললেও একাই যোগ দিয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সিন্ধে। তিনি অবশ্য বলছেন, কোনও সমস্য্যা নেই। কিন্তু বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। ক্লায়েজ ক্রাস্টোর খোঁচা,  ‘এই ঘটনাক্রম বুঝিয়ে দিয়েছে, সিন্ধের প্রতি কোনও সম্মান নেই ফড়নবিশের। এমনকি দলের মন্ত্রীরাও সিন্ধের নিয়ন্ত্রণে নেই। এর অর্থ বিজেপির আর সিন্ধেকে প্রয়োজন নেই। আত্মসম্মান থাকলে দ্রুত জোট থেকে বেরিয়ে আসা উচিত সিন্ধের। নাহলে বিজেপিই তাঁকে তাড়িয়ে দেবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)