গান্ধীনগর: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাসায়নিক হামলার প্ল্যান। এখানেই শেষ নয়। খাদ্যের মাধ্যমে বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছিল চিকিৎসক আহমেদ মহিউদ্দিন সঈদ। কিন্তু নাশকতার ছক সফল হওয়ার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্থান হয় জেলে। মঙ্গলবার সবরমতী সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে ধৃত ওই ডাক্তার আহমেদকে মারধরের অভিযোগ উঠল তিন বন্দির বিরুদ্ধে। এক অভিযুক্তের নাম নীলেশ শর্মা। বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি। ঠিক কী কারণে আচমকা তার উপর হামলা চালানো হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেল কর্তৃপক্ষ। হঠাৎই জেলের মধ্যে আহমেদকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়। চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাদের শান্ত করা হয়। জেল সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসককে দেখার পর থেকেই রাগে ফুঁসছিল অভিযুক্তরা। ও একজন জঙ্গি। ওকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। নিজেদের মধ্যে এসব আলোচনা করছিল অভিযুক্তরা। দেশপ্রেম দেখাতে গিয়েই হঠাৎ হামলা করে বসে। মারধরের জেরে ধৃত চিকিৎসকের চোখে ও নাকে আঘাত লেগেছে। ঘটনায় জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলের এক শীর্ষ আধিকারিক।