লোকসান কমাতে বিকল্প চীনা রুটের সন্ধান, কেন্দ্রের দ্বারস্থ এয়ার ইন্ডিয়া, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাড়ছে আর্থিক বোঝা
বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুরের সময় থেকে ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ পাকিস্তানের আকাশসীমা। ঘুরপথে উড়ান চালাতে গিয়ে বাড়ছে বিমানযাত্রার সময়। যার জেরে বাড়ছে আর্থিক বোঝাও। সঙ্কট কাটাতে তাই বিকল্প রুটের সন্ধানে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এজন্য তারা দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু কী সেই বিকল্প রুট? এয়ার ইন্ডিয়ার একটি অভ্যন্তরীণ নথির ভিত্তিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চাইছে এই ভারতীয় বিমান সংস্থা। আন্তর্জাতিক উড়ানে বিমানযাত্রার সময় কমাতে চীনের এই বিশেষ মিলিটারি এয়ারস্পেস এখন পাখির চোখ এয়ার ইন্ডিয়ার। বিকল্প এই রুটে ছাড়পত্র পেতে কেন্দ্রের কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা। এই পথে উড়ানের অনুমতি মিললে আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত আগের চেয়ে সহজ হবে। বাঁচবে খরচও। উল্লেখ্য, পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ভারত-চীন বিমান যোগাযোগ নতুন করে শুরু হয়েছে। সেই আবহেই চীনের জিনজিয়াংয়ের ওই রুট ব্যবহারের লক্ষ্যে অক্টোবরের শেষেই কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার অনুরোধ।
পাকিস্তানের আকাশাসীমা বন্ধের জেরে বিভিন্ন দীর্ঘ রুটে আন্তর্জাতিক বিমান চালাতে এয়ার ইন্ডিয়ার জ্বালানি খরচ বেড়েছে ২৯ শতাংশ। কারণ ঘুরপথে এইসব রুটে বিমানযাত্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেশি সময় লাগছে। এয়ার ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ হিসেব বলছে, পাক আকাশসীমায় বিধিনিষেধের জেরে বার্ষিক প্রায় ৪৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার আর্থিক বোঝা চাপতে পারে। বিকল্প রুট হিসেবে চীনের জিনজিয়াংয়ের আকাশসীমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের হোটান, কাশগার, উরুমকি বিমাননন্দর ব্যবহারের সুবিধা পেতে চাইছে এয়ার ইন্ডিয়া। যদিও চীনের যে রুটটি তারা ব্যবহার করতে চাইছে সেখানে একযোগে বিশ্বের অনেকগুলি সুউচ্চ পর্বত রয়েছে (২০ হাজার ফুট)। আবহাওয়াও চ্যালেঞ্জিং। ফলে বিমানযাত্রার জন্য এই রুট যথেষ্টই ঝুঁকির। এই রুটটি মূলত চীনের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়াকে এই রুট ব্যবহারের অনুমতি চীন আদৌ দেবে কি না, সেবিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ।