১১৭ নং জাতীয় সড়ক: বেপরোয়া বাস চালকদের বাগে আনতে ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ নজরদারি দল
বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে দুই বাসের রেষারেষির ফলে সম্প্রতি একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন অনেকে। মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই অবস্থায় বৈঠক ডেকে বারবার বাসের চালক ও মালিকদের সতর্ক করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তাই এবার বেপরোয়া বাস চালকদের শায়েস্তা করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার ট্রাফিক বিভাগ থেকে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তারা জাতীয় সড়কে টহল দেবে। বাসগুলি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলছে কি না, তা যখন তখন যাচাই করে দেখবে ওই দল। একটি বাস কখন স্ট্যান্ড থেকে ছেড়েছে, একটি স্টপ থেকে আরেকটি স্টপে যেতে কত সময় লাগা উচিত, তার চেয়ে কম নাকি বেশি সময় লাগছে, যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে কি না বা দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে কি না—এসবই থাকবে তাদের নজরদারির আওতায়। কোথাও ত্রুটি বা গাফিলতি দেখলেই পদক্ষেপ করবে পুলিশ। প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে চালককে। শুধু তাই নয়, জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট চালককে মামলা দেওয়া হবে। এতদিন স্রেফ সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল চালকদের। এবার সরাসরি ‘অ্যাকশন মোডে’ নামছে ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশ জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘জরিমানা করেও যদি কাজ না হয়, তখন বেপরোয়া চালকদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা যায় কি না, সেই ভাবনাচিন্তা চলছে।’
এদিকে, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অন্তর্গত ন’টি ‘ব্ল্যাক স্পটে’ গত তিন মাসে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমেছে। এই সময়কালে একটি মাত্র দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন একজন। কিন্তু গত দু’ বছরে আমতলা, বাগিরহাট, খড়িবেড়িয়া, শিরাকোল, দোস্তিপুর ফতেপুর সহ এই ন’টি জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে প্রাণহানি যেমন হয়েছে, আহতও হয়েছেন অনেকে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে গার্ডরেল বসানোর পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে স্পিড ব্রেকার। লাগাতার প্রচার এবং আইন ভঙ্গকারী চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।