নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: করোনা পর্বের আগে বারাকপুর স্টেশনে চার নম্বর থেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার জন্য একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ ছিল। সেটি ব্যবহার করে আনন্দপুরী এলাকার মানুষজন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়া-আসা করতে পারতেন। বর্তমানে ব্রিজটি না থাকায় অনেক ঘুরপথে মানুষজনকে চার নম্বর থেকে এক নম্বরে আসতে হচ্ছে। ফলে বারাকপুর স্টেশনের পূর্বদিকের একটি বড় অংশের বাসিন্দা বেশ অসুবিধার মধ্যে আছেন। এই বিষয়ে রেলওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সম্রাট তপাদারের নেতৃত্বে একটি ডেপুটেশন কর্মসূচি মাসখানেক আগে হয়েছিল। কিন্তু রেল তাতে কোনওরকম ভ্রূক্ষেপই করেনি। এরপর বুধবার কয়েকশো তৃণমূল কর্মী স্টেশন চত্বরে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। রেলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন তাঁরা। রেলের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে থাকেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে স্টেশন ম্যানেজারের গেট আটকে বসে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। ম্যানেজার সহ রেলকর্মীরা তাতে বের হতে পারেননি। রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় স্টেশন চত্বরে। উপস্থিত হয় রেল পুলিশও। তবে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেল চলাচলে কোনওরকম ব্যাঘাত ঘটায়নি তৃণমূল। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সম্রাট তপাদার বলেন, রেল ইচ্ছা করেই মানুষজনকে অসুবিধার মধ্যে ফেলছে। কেন ওভারব্রিজটা দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে থাকবে? বারবার বলা সত্ত্বেও রেলকর্তারা কোনও কর্ণপাত করছেন না। তাই এদিন অবস্থান-বিক্ষোভ করলাম। শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন স্টেশন ম্যানেজার। এরপর বিক্ষোভ তুলে নেয় তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র