• আর্দ্রতা বেড়ে শহর ঘর্মাক্ত, নিম্নগামী দূষণে স্বস্তির শ্বাস
    বর্তমান | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নভেম্বরের শুরুর দিকে একটু ঠান্ডার পরশ পেয়েছিল শহর। কিন্তু কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের গরম। দুপুরের রোদে ঘাম। মৃদু শীত কয়েকদিন শহরবাসীর মনে ফুরফুরে মেজাজ এনে দিয়েছিল। তবে ঠান্ডার হাত ধরে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতার বাতাস। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর কলকাতার বাতাসে দূষণের সূচক ছিল ২৩১ ও ২২০। যা শ্বাস নেওয়ার পক্ষে অস্বস্তিদায়ক। আবার গরম পড়তেই বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা উঠতে শুরু করেছে উপরের দিকে। ফলে শহরের বাতাসে গড় দূষণের সূচক চলে এসেছে ২০০’র নীচে। যা তুলনামূলকভাবে শ্বাসগ্রহণের পক্ষে স্বস্তিদায়ক।

    বাতাসে দূষণের সূচকের নামাওঠা কি শুধুই তাপমাত্রার ওঠানামার উপর নির্ভর করে? নাকি এর পিছনে অন্য কারণও আছে? পরিবেশবিদ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী জানান, মেট্রো শহরগুলোতে প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি ভৌগলিক কারণও থাকে। হাওয়ার গতিবেগ, বাতাসের আর্দ্রতা নির্ভর করে। নভেম্বর থেকে সাধারণত একিউআই বাড়তে থাকে। এই তারতম্য হয় আর্দ্রতার কারণে। বাতাস শুষ্ক থাকলে ধূলিকণা বাড়ে। এখানে ধূলিকণা বৃদ্ধির মূল কারণগুলো হল, বাইরের বাতাসের প্রবেশ, নির্মাণজনিত দূষণ। 

    গত কয়েকদিন শহরের তাপমাত্রা উর্দ্ধমুখী। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৩০ ডিগ্রির ঘরে। তার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ শতাংশ বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর্দ্রতা বাড়ার কারণেই একিউআই কমেছে বলে অনুমান পরিবেশবিদদের। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে যাদবপুরের গড় একিউআই ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কমে আড়াইশ’র ঘরে এসেছে একিউআই। এদিকে ভিক্টোরিয়া চত্বরেও একিউআই গত সপ্তাহে ৩০০ ছাড়িয়েছিল। নেমে হয়েছে ২২৫। স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেছেন, ‘শহরাঞ্চলে মূলত যানবাহনের দূষণের জন্যই বাতাসের দূষণ এতখানি বেড়ে যায়। আবার নিউটাউন এলাকায় নির্মাণজনিত কারণে দূষণ বেশি হয়।’
  • Link to this news (বর্তমান)