• এনিউমারেশন ফর্মপূরণে ব্যাপক উৎসাহী জনগণ! দাবি বঙ্গ-বিজেপির
    এই সময় | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: রাজ্যে এখন জোরকদমে চলছে ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (সার)। নতুন ভোটার তা‍লিকায় কার নাম থাকবে, কার নাম বাদ যাবে—তা নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা প্রবল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই ‘উৎকণ্ঠা’র জেরে এখনও পর্যন্ত বাংলায় ২৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘সার’ নিয়ে তৃণমূল নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা কর‍লেও তাতে কাজ হয়নি। জনগণ মহা–উৎসাহে এনিউমারেশন ফর্ম ফিল–আপ করছেন! সূত্রের খবর, ‘সার’ সংক্রান্ত এই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে বঙ্গ–বিজেপির তরফে।

    ভোটার তা‍লিকা ঝাড়াই–বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই ‘সার’ নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজ‍নীতি। শাসকদল তৃণমূলের তরফে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখা হয়েছে, একজনও বৈধ ভোটারের নাম কাটা গেলে তারা লঙ্কাকাণ্ড বাধাবে। অন্য দিকে, বিজেপির তরফে পা‍ল্টা হুঙ্কার ছাড়া হয়েছে, নতুন ভোটার তালিকায় একজন অবৈধ ভোটারেরও নাম থেকে গেলে তার জল বহুদূর গড়াবে। তবে ‘সার’–এর প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বিভ্রান্তি এবং উৎকণ্ঠা। যা কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে। কারণ, গোড়া থেকে ‘সার’–এর পক্ষে জোরা‍লো সওয়াল করে এসেছে শুধু তারাই।

    শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যর মতো রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা জোর গলায় প্রচার শুরু করেন, ‘সার’–এ একজনও হিন্দু এবং ভারতীয় মুসলিম ভোটারের নাম বাদ যাবে না। বাংলাদেশি মুসলমানদের চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিজেপির দাবি, এই প্রচারে বাংলার মানুষ সাড়া দিয়েছেন। এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ‘সার’–এ সামিল হয়েছেন।

    ‘সার’–এর আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। বঙ্গ–বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল নানা রকম গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছিল, যাতে এই প্রক্রিয়া বানচাল হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ উৎসাহের সঙ্গেই এনিউমারেশন ফর্ম ফিল–আপ করছেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে বিডিও এবং ডিএম–তন্ত্র চলছে সেটা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ধরে ফেলেছে। এসআইআর চলছে। মানুষ প্রস্তুত। আমরা খুশি। সবার একটাই দাবি—পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা।’

  • Link to this news (এই সময়)