• মেট্রোয় ঝাঁপ পড়ুয়ার, মৃত্যুর আগে অঙ্গদানের ইচ্ছাপ্রকাশ, সুইসাইড নোটে গুরুতর অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে
    এই সময় | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লির রাজেন্দ্র প্লেস মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ায়। সূত্রের খবর, ১৬ বছর বয়সি ওই পড়ুয়া দিল্লির প্রথম সারির এক স্কুলের ছাত্র। ঘটনা মঙ্গলবারের, কিন্তু তা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। কী কারণে ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করে, তা এখনও পুরো স্পষ্ট নয়। তবে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে পড়ুয়া লিখেছে, তার শরীরের কোনও অঙ্গ যদি ভালো থাকে, তবে তা যেন দান করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও, বারবার করে সে স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং দুই শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে বলেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য।

    সুইসাইড নোটে মা-কে ওই পড়ুয়া লিখেছে, ‘দুঃখিত মাম্মি, আমি তোমার মন অনেকবার ভেঙেছি। এ বার শেষবারের মতো ভাঙব। তবে স্কুলের শিক্ষকরা খুব খারাপ। ওদের জন্যেই আমার এই সিন্ধান্ত’। ইতিমধ্যেই ছাত্রের বাবা স্কুলের অধ্যক্ষ এবং তিন জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    মৃত পড়ুয়ার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তাঁর ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু দুপুরে খবর আসে ছেলে মেট্রো স্টেশনের কাছে আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পড়ুয়ার বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন, শিক্ষকরা তাঁর ছেলের উপর মানসিক নির্যাতন করতেন। একজন শিক্ষক নাকি চার দিন ধরে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

    পড়ুয়ার বাবা আরও জানান, মঙ্গলবার নাটকের ক্লাসে তাঁর ছেলে পড়ে যায়। একজন শিক্ষক তাকে খুব বকাবকি করেন এবং ‘নাটক’ করছে বলে ঠাট্টা করেন। এর পরে ওই পড়ুয়া কাঁদতে শুরু করলে শিক্ষক বলেন, ‘যত খুশি কাঁদো, আমার কিছু যায় আসে না।’ এমনকী সেই সময় প্রিন্সিপালও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি কিছু বলেননি।

    ওই পড়ুয়ার বাবা-মা এর আগেও স্কুলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে অভিভাবকদের দাবি। সামনে দশম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। সেই কারণে তাঁরা বড় কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে সূত্রের খবর। পড়ুয়ার বাবা-মা ভেবেছিলেন, পরীক্ষা শেষ হলে ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করে দেবেন।

  • Link to this news (এই সময়)