• একের পর এক রাজ্যে ভোটচুরির অভিযোগ, এবার জ্ঞানেশকে সরাতে ‘ইমপিচমেন্টে’র প্রস্তুতি কংগ্রেসের
    প্রতিদিন | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানেশ কুমার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়া ইস্তক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ এবং কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয়, দুই-ই বাড়ছে। অন্তত বিরোধী শিবির নিশ্চিত যে, নির্বাচন কমিশন আর স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নেই। ভোটের বাজারে তাঁরা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ পাচ্ছে না। তাই ‘নিরুপায়’ হয়ে ফের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে জ্ঞানেশ কুমারকে অপসারণ বা ‘ইমপিচমেন্ট’-এর প্রস্তাব আনা নিয়ে কংগ্রেস নতুন করে সক্রিয় হল।

    সূত্রের খবর, কংগ্রেস এ বিষয়ে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের শরিক দলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। এ বিষয়ে ঐকমত্য হলে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব আনা হতে পারে। এ বিষয়ে একেবারে প্রাথমিক স্তরে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে কংগ্রেস আলোচনা শুরু করেছে বলে খবর। তবে এখনও সব দল ঐক্যমত হতে পারেনি। তবে ইমপিচমেন্ট আনা হোক বা না হোক, শীতকালীন অধিবেশনে ভোটচুরি ইস্যুতে সংসদ যে উত্তাল হতে চলেছে, সেটা পরিষ্কার।
    আগস্ট মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই জ্ঞানেশ কুমারকে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। যদিও সেবার শেষ পর্যন্ত জ্ঞানেশের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রস্তাব আনা হয়নি। কিন্তু তারপর বিহার নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস একপ্রকার নিশ্চিত যে ভোটপ্রক্রিয়ায় কোথাও গলদ রয়েছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব একাধিক বিরোধী দল। এখন দেখার জ্ঞানেশের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে বিরোধীরা একমত হয় কিনা।

    উল্লেখ্য, সংবিধানের ৩২৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সরানো যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো একই প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস করাতে হয়। অর্থাৎ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ইমপিচ করতে হলে সংসদের দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। যদিও সেই সংখ্যা বিরোধীদের নেই। তবে শেষপর্যন্ত ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হলে, সেটা রাজনৈতিকভাবে বার্তাবহ হতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)