• মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ! এনুমারেশন ফর্ম বিলির সময়েই সেরিব্রাল স্ট্রোকে ‘আক্রান্ত’ বিএলও
    প্রতিদিন | ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: এনুমারেশন ফর্ম দিতে বেরিয়ে অঘটন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএলও তপতী বিশ্বাস। ফর্ম বিলির সময় একেবারে রাস্তাতেই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন তপতী বিশ্বাস। এর ফলে তাঁর বাঁ দিক সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তপতীদেবীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানিয়েছেন, এসআইআর সংক্রান্ত প্রবল কাজের চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন। মানসিক চাপ বাড়ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা।

    জানা যায়, বুধবার সকালে কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও র দায়িত্ব পালন করছিলেন কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটের তপতি বিশ্বাস। তিনি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। প্রত্যেকদিনের মতোই বুধবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলির কাজ করছিলেন। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, ”একবার এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা এরপর তা ফেরত নেওয়া, এরপর কিউআরকোড স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করা। দীর্ঘ এই প্রক্রিয়ায় একেবারে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন তপতী।” তাঁর কথায়, ”রাতের ঘুম ঠিকভাবে হচ্ছিল না। ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য বারবার ফোন। আর সেই মানসিক চাপ থেকেই এই অঘটন।”

    অন্যদিকে কোন্নগর মাতৃ সদন হাসপাতালে চিকিৎসক সঞ্জয় শী জানিয়েছেন, ”তপতীদেবীর হাই সুগার এবং হাই ব্লাড প্রেসারের কারণে সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছে। সিটি স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে।” এই অবস্থায় তপতী বিশ্বাসের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত পরিবার।

    বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলায় এসআইআর সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ঘোষণার পর থেকেই জনমানসে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। মজনতার মনে হাজার প্রশ্ন-ভয়। যার পরিণতি হচ্ছে মর্মান্তিক। দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তবে শুধু তা-ই নয়, বিএলওরা কাজের চাপে আত্মহত্য়া করছেন, এমন অভিযোগও উঠছে। বুধবার সকালে মালবাজারে এক মহিলা বিএলও’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপের কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত। সেই প্রসঙ্গে বুধবারই এক্স হ্যান্ডেলে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে একযোগে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)