হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের রং গেরুয়া করা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে নীল-সাদা থাকলেও ভিতরে গেরুয়া রং করায় আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের রং নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে। কংগ্রেস ও বিজেপির ‘দোস্তি’ প্রমাণ হচ্ছে। তা মানতে নারাজ কংগ্রেস। শুরু রাজনৈতিক তরজা।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে ভিঙ্গোল পঞ্চায়েতের ১৯ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ৬টি, সিপিএমের ৪টি ও বিজেপির ৩টি আসন রয়েছে। ১৩ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে তিন দলের মহাজোট। অন্য দিকে, ৬টি আসন নিয়ে বিরোধী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে রয়েছে নীল-সাদা রং থাকলেও সম্প্রতি ভবনের ভিতরের দেওয়াল গেরুয়া রঙে রেঙে উঠেছে। সেখানেই আপত্তি তৃণমূলের। পঞ্চায়েতের বিরোধী নেত্রী তৃণমূলের সুখি খাতুন বলেন, ‘‘এখানে রঙের রাজনীতি হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। উপরে কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে কুস্তি করলেও এখানে তাদের দোস্তি রয়েছে।’’ পঞ্চায়েত দফতর গেরুয়া রং করার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। কংগ্রেস এর পিছনে রাজনীতি দেখতে নারাজ। দলীয় প্রধান বর্ষা বসাক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভবন রং করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাত লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে পঞ্চায়েতের তহবিলের টাকা দিয়েও ভবন রং করা হচ্ছে। বাইরে নীল-সাদা করা হয়েছে। ভিতরের রং পছন্দ করার জন্য তৃণমূল সদস্যদেরও বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আসেননি। এখন তৃণমূল অযথা রাজনীতি করছে।’’ বিজেপির মালদহ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত দফতরের রঙে কি যায়-আসে। পঞ্চায়েত বোর্ড মানুষের স্বার্থে কাজ করছে কিনা, সেটাই বড় বিষয়। তৃণমূল অযথা রাজনীতি করছে।’’