দেবব্রত ঘোষ: শিবপুরে অভিজাত আবাসনে গুলি চালানো ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিস। কারন এই আবাসনে থাকেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যদিও যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা একান্ত অন্য একটি পরিবারের মধ্যে। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আবাসনে বসবাস করার ঘটনা ঘটেছে। কী ভাবে সিকিউরিটি গার্ডের নজর এড়িয়ে বেআইনি নাইন এম এম পিস্তল নিয়ে এক আবাসিক প্রবেশ করল, সেই প্রশ্নই উঠছে। পুলিসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিঙের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আবাসনের এসোসিয়েশনের সদস্য বলেন, যারা ফ্ল্যাট মালিক, তাদের চেকিং হয়না। জানা গিয়েছে, শিবপুরের অভিজাত আবাসন আইডিয়াল গ্র্যান্ডে ডি ব্লকের পনেরো তলার ফ্ল্যাটে ঘটনাটি ঘটে। এখানে থাকেন গোপাল যাদব ও তাঁর স্ত্রী পুনম যাদব। গোপাল যাদবের পিস্তল থেকে গুলি লাগে তাঁর স্ত্রীর মাথায়।
গোপাল যাদব একজন মালিক। যেটা ঘটেছে সেটাও তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবুও পুলিসের প্রস্তাব বিবেচনা করে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। তদন্তে পুলিস। প্রথমে হাওড়া ও পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য বুধবার হাওড়ার শিবপুরে এক অভিজাত আবাসনে নিজের ফ্ল্যাটে স্ত্রী পুনম যাদবকে মাথার পিছনে গুলি করে স্বামী গোপাল যাদব। এই ঘটনায় শিবপুর থানার পুলিস গতকালই গ্রেফতার করে গোপাল যাদবকে। তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, যে নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেটির কোন লাইসেন্স ছিল না। ঝাড়খন্ড থেকে সেটা কেনা হয়েছিল। ওই পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করেছে শিবপুর থানার পুলিস। গোপাল যাদব আদতে বিহারের শিওয়ানের বাসিন্দা। তার কাছে কী ভাবে বেআইনি পিস্তল এলো এবং তার সঙ্গে কোনও আন্তরাজ্য অপরাধ চক্রের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃতকে সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরেক রক্তাক্ত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য আসানসোলের কুলটিতে। অভিযোগ ছেলেকে বিরুদ্ধে। আসানসোলের কুলটি থানার এলসি মোড় সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। মৃতার নাম সুশিলা সিনহা (৪৫)। অভিযোগ মঙ্গলবার গভীর রাতে সুশীলা সিনহাকে মাথায় আঘাত করে নাকি তার ছেলে বিশাল সিনহা। এই ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই কুলটি থানার পুলিস পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে কী কারণে এই খুন তা জানা যায়নি। অভিযুক্ত ছেলে বিশাল সিনহাকে আটক করেছে পুলিস।