শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কয়েক সপ্তাহ আগেই বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতীয় মহিলা দল (Women's T-20 World Cup)। বিশ্বকাপ জেতার পরই ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur)। ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর এ দেশে মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। আগ্রহের কেন্দ্রে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ফাইনালে নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ ধরে দেশকে ট্রফি দিয়েছিলেন তিনি। সেই হরমনপ্রীত এখন এত বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পাচ্ছেন যে, দম ফেলারই সময় নেই।
এরইমধ্যে বিরাট সুখবর হরমনপ্রীতের জন্য। এবার ডি-লিট (D.Litt) সম্নান পাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক (Captain of Indian Women's Cricket Team)। এবারের সমাবর্তনে ভারতীয় ক্রিকেট মহিলা দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরকে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাকে চিঠি পাঠানো হবে আমন্ত্রণ জানিয়ে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU)পক্ষ থেকে ডি-লিট পাচ্ছেন হরমনপ্রীত (Harmanpreet Kaur)। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডি লিট দেওয়া হবে তাঁকে। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
৩ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ৭ তারিখ সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সেখানে হরমনকে ডি.লিট দেওয়ার প্রস্তাব উঠলেও প্রথমে তাকে আমল দেওয়া হয়নি। কারণ হাতে কম সময় ছিল। তাই ডি.লিট দিতে গেলে বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যা এই কম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য।
তবে বুধবার রাজভবনে সমাবর্তন নিয়ে ফের আলোচনায় বসেন উপাচার্য। রাজভবন সূত্রে খবর, সেখানে আচার্যকে হরমনপ্রীতকে ডি লিট দেওয়ার বিষয়টি জানানো হলে তাতে সায় দেন সিভি আনন্দ বোস।
বিশেষ অতিথি হিসাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Binayak Bandyopadhyay), ডিআরডিও চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাথ, শিবকুমার কল্যাণরামনের নামও প্রস্তাব করেছে বিশ্ববিদ্যালয় । তাতেও সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল, এমনই খবর রাজভবন সূত্রে।
বিশ্বকাপ জেতার পরই ব্র্যান্ড ভ্যালু কয়েকগুণ বেড়েছে হরমনপ্রীতের। বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব আসছে একের পর এক। আগে ৮ থেকে ১০টি সংস্থার হয়ে কাজ করতেন কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহে চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ব্র্যান্ড ভ্যালু কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর ম্যানেজার নূপূর কাশ্যপ জানিয়েছেন, খেলার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন সংস্থাও হরমপ্রীতকে দিয়ে বিজ্ঞাপণ করানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। বেশ কিছু সংস্থার আবেদন খারিজও করে দিয়েছেন হরমনপ্রীত।
২০১৭-এ ফাইনালে ওঠার পর থেকেই ভারতে মহিলা ক্রিকেটারদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গিয়েছিল। আট বছর পর ট্রফি জয় সেটাকেই নিয়ে গিয়েছে অন্য উচ্চতায়। কাশ্যপ বলেছেন, 'একজন ক্রীড়াবিদের ম্যানেজার হিসাবে আমি দেখেছি, বিশ্বকাপ জেতার পর মহিলাদের ক্রিকেটে অনেক বেশি আগ্রহ এবং বিনিয়োগ হচ্ছে। সংস্থার হয়ে প্রচার, ক্রিকেটারদের চাহিদা এবং স্বীকৃতি সবই এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আগে প্রচারের মধ্যে বৈচিত্র ছিল। এখন মানসিকতা অনেকটাই বদলে গিয়েছে।'