সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের অন্দরে ভাঙনের কালো ছায়া! বৃহস্পতিবার দশজন কংগ্রেস বিধায়কের একটি দল দিল্লি গিয়েছে। এঁরা সকলেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের শিবিরের লোক বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের দাবি, সিদ্দারামাইয়াকে সরিয়ে এবার কর্নাটকের মসনদে শিবকুমারকে বসানোর বিষয়ে তদ্বির করতেই তাঁদের তড়িঘড়ি রাজধানী সফর। এমনিতেই সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের মধ্যেকার সংঘাত এখন অনেক স্পষ্ট। তার মধ্যেই বিধায়কদের দিল্লি সফর ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিন্তু হঠাৎ কেন শিবকুমারকে বসানোর দাবি? আসলে দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। এদিনই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের।
সিদ্দারামাইয়া পদে বসার পর থেকেই কর্নাটকের রাজনৈতিক মহলে এই গুঞ্জন ছিল যে, ‘টার্ম’-এর অর্ধেক পূর্ণ হলেই তিনি সরে যাবেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন শিবকুমার। যদিও এমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবু জল্পনাটা থেকেই গিয়েছে। আড়াই বছর পূর্ণ হতেই তা আরও জোরালো হতে শুরু করেছে। ডিকে শিবিরের দাবি, সেসময় কুরসি নিয়ে আড়াই বছরের ফর্মুলা ঠিক করা হয়েছিল। সেই ফর্মুলা মেনেই এবার মুখ্যমন্ত্রী বদলের সময় এসেছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে রাজি নন।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে শিবকুমার ঘনিষ্ঠদের দলটির বৈঠকে বসার কথা। এমনকী, কাল সকালে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের সঙ্গেও শুক্রবার সকালে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেও একই বিষয়ে আলোচনা হবে। এমনকী, এই সপ্তাহান্তেও আরও শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের দিল্লি যাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।