• তামিলনাড়ুতে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, ব্যাকফুটে বাংলার শীত
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: মৌসম ভবনের পূর্বাভাস মিলিয়ে দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ুর মাঝামাঝি জায়গায় ফের তৈরি হলো নিম্নচাপ। তার জেরে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলা থেকে বহু দূরের ঘটনা। তবে শ্রীলঙ্কার কাছে তৈরি সেই নিম্নচাপই বাঙালির শীত উপভোগের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে চলেছে। বছরের বেশির ভাগ সময়েই বিরক্তিকর ভ্যাপসা গরম সহ্য করার পরে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সবেমাত্র একটু হিমেল আমেজ উপভোগ করতে শুরু করেছিল বাংলা। তাতেও বাধ সাধল নিম্নচাপ।

    পাগলা দাশুর ভাষায় বলতে হয়, ‘আবার সে এসেছে ফিরিয়া’। জুন থেকে শুধু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পর্ব। চলেছিল অক্টোবরের একেবারে শেষ পর্যন্ত। ওই পাঁচ মাসে ১৯৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়ে একেবারে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হয়েছিল কলকাতার। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছিল দক্ষিণবঙ্গ। মানুষ চাইছিলেন বিদায় নিক বৃষ্টি। নভেম্বরের শুরুতেই অবশ্য বাংলার আবহাওয়া বদলেছিল। উত্তর–পশ্চিম ভারতের দরজা খুলে ঢুকতে শুরু করেছিল ঠান্ডা হাওয়া। দ্রুত নামছিল দক্ষিণবঙ্গের রাতের তাপমাত্রা।

    এমন অবস্থাতেই ছন্দপতন। দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। ওই ঘূর্ণাবর্তই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ওই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই উত্তর–পশ্চিম ভারত থেকে ঢুকে আসা শীতল বাতাসের অভিমুখ বদলে গিয়ে দক্ষিণবঙ্গের রাতের তাপমাত্রা ফের বাড়তে শুরু করেছে। নিম্নচাপের প্রভাব পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত বাংলার আবহাওয়ায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন না আবহবিদরা। নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা অবশ্য নেই বললেই চলে। তবে বাংলায় শীতের আমেজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই আমেজ উধাও হওয়ার জন্যে নিম্নচাপকেই দায়ী করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)