• তৃণমূলের নেতার দু’টি ভোটার কার্ড, জোর চর্চা শুরু নন্দীগ্রামে
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, নন্দীগ্রাম: তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। আর তাঁর নামেই কি না দু-দু'টি ভোটার কার্ড! এমন ঘটনা সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে নন্দীগ্রামে। বিজেপির অভিযোগ, দু'টি বুথ থেকে ওই সভাপতির নামে দু'টি ভোটার কার্ড রয়েছে। গত ১০-১২ বছর ধরে তিনি দুই জায়গাতেই ভোট দিচ্ছেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তম প্রামাণিকের দাবি, 'কী ভাবে এমনটা হলো বুঝতে পারছি না! নন্দীগ্রাম-১ বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, 'প্রশাসনের তরফে যে কোনও একটি বুথ থেকে ওই ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে।'

    সম্প্রতি এ বঙ্গেও 'সার' (স্পেশাল ইটেনসিভ রিভিশন) শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলওরা (বুথ লেভেল অফিসার) ফর্ম দিয়েছেন। একই ভাবে সেই ফর্ম সংগ্রহও করেছেন। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তম দু'টি ভোটার কার্ড ব্যবহার করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ২১০ নন্দীগ্রাম বিধানসভার চর কেন্দ্রামারি বুথের ৫২৮ ক্রমিক নম্বরে রয়েছে উত্তমের নাম। আবার সুভানি চক শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ২৩৩ নম্বর বুথে ক্রমিক নম্বর ৩৮৫-তেও তাঁর নাম আছে।

    উত্তম তৃণমূলের ভোট রক্ষা শিবিরে গিয়ে মানুষকে 'সার'-এর বিষয়ে বোঝাচ্ছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ ওঠায় এলাকার অনেকেই অবাক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, 'এ তো ভোটার কার্ডেও দুর্নীতি! এক সময়ে চর কেন্দ্রামারিতে থাকতেন উত্তম। বছর বারো আগে চর কেন্দ্রামারি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সুভানিচকে বাড়ি করে চলে যান। সেখানেও নিজের ভোটার তালিকাতে নাম তুলেছেন।'

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, 'বিষয়টি জানার পরেই আমরা প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। এই সব তথ্য প্রকাশ্যে আসবে জানতে পেরেই 'সার' বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে তৃণমূল।' তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তমের কথায়, 'প্রায় ১২ বছর আগে পুরোনো বাড়ি থেকে সুভানিচকে চলে এসেছি। কী ভাবে দু'টি বুথে নাম থেকে গেল বুঝতে পারছি না। আমার কাছে একটি ভোটার কার্ড আছে। বিএলও আমাকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রামারি বুথ থেকে আমার নাম বাদ দিতে বলেছি।'

  • Link to this news (এই সময়)