দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ড: চার মূল অভিযুক্ত এনআইএ হেপাজতে, জয়পুর-আমেদাবাদ হামলায় যুক্ত শাদাবও আল-ফালাহের প্রাক্তনী!
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
ভোপাল: ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি এখানকার পড়ুয়া ছিল। উমরের আগে অবশ্য আরও একজন জঙ্গিকে ভর্তি নিয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। নাম মির্জা শাদাব বেগ। বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে সে। গোরক্ষপুর, আমেদাবাদ ও জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের এই সদস্য। এদিকে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও চার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল গনাই, ডাঃ আদিল আহমেদ রাঠের, ডাঃ শাহিন সাইদ ও মুফতি ইরফান আহমেদ ওয়াগায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, ‘পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের দায়রা বিচারকের নির্দেশে চারজনকে হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।’ অভিযোগ, লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে প্রত্যেকের সমান ভূমিকা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে আল-ফালাহ থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টেশন নিয়ে বিটেক করে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা শাদাব। তদন্তকারীদের অনুমান, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ‘প্ল্যান অব অ্যাকশন’ ঠিক করে সে। ওই বছর মে মাসে গোরক্ষপুরের একটি শপিং কমপ্লেক্সে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় জখম হয়েছিলেন কমপক্ষে ছ’জন। পরের বছর ১৩ মে ন’টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজস্থানের জয়পুর। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৬০ জনের। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৬ জুলাই গুজরাতের আমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। প্রাণ হারান পঞ্চাশের বেশি মানুষ। অভিযোগ, প্রত্যেকটি বিস্ফোরণে যুক্ত ছিল শাদাব।
তদন্তে জানা গিয়েছে, জয়পুর বিস্ফোরণের জন্য কর্ণাটকের উদুপিতে গিয়েছিল শাদাব। সেখান থেকেই বিস্ফোরকের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে রিয়াজ ভাটকাল ও ইয়াসিন ভাটকাল নামে দুই ব্যক্তিকে একাধিক ডেটোনেটর ও বেয়ারিং সরবরাহ করে শাদাব। তদন্তকারীদের অনুমান, ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ফলে বোমা বানানোর কৌশল আগে থেকেই জানত অভিযুক্ত। অন্যদিকে, বিস্ফোরণের ১৫ দিন আগে আমেদাবাদে গিয়ে রেকি চালিয়েছিল শাদাব। অপারেশনের জন্য মোট তিনটি টিম বানানো হয়। প্রত্যেক সদস্যের থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ওই যুবক। এমনকি বিস্ফোরণের আগে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দিয়েছিল শাদাব। এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে শাদাবকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। আজও জারি রয়েছে তল্লাশি।