ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, পাউরুটি, ‘ক্ষতিকর’ খাবারের বিক্রি বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ! রিপোর্ট ঘিরে হইচই
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: রেডি টু কুক থেকে রেডি টু ইট—দ্রুতগতির জীবনে চটজলদি খিদে মেটাতে এধরনের খাওয়ারের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, পাউরুটি মতো বহু সামগ্রী ক্রমেই রান্নাঘরের স্থান দখল করছে। এই ধরনের আল্ট্রা প্রসেসড ফুডস বা ইউপিএফের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার শতাংশ! স্বাভাবিকভাবেই ইনস্ট্যান্ট আইটেমের চাপে কমছে প্রথাগত খাবারের চাহিদা। এই প্রবণতায় তুমুল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ইউপিএফ’স-এর বাড়বাড়ন্তে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অসংখ্যা রোগও বাসা বাধছে।
এনিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল ল্যানসেটে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে রেডি টু কুক বা রেডি টু ইট জাতীয় খাদ্যে বেড়ি পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের ৪৩ জন গবেষক এ সংক্রান্ত তিনটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের বিক্রি ভারতে হু হু করে বাড়ছে। ২০০৬ সালে এধরনের সামগ্রী বিক্রির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৩ লক্ষ কোটি। এই একই সময়সীমার মধ্যে ভারতে পুরুষ ও মহিলাদের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিপোর্টে প্রকাশ, দেশের চারজনের মধ্যে একজন স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা ২০১৬ সালে ছিল ২.১ শতাংশ। ২০১৯-২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৪ শতাংশে। এছাড়া, ডায়বেটিক রোগীর সংখ্যাও লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর নেপথ্যে বিশেষভাবে দায়ী অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যই। তাই দ্রুত এতে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তাঁদের মতে, এই সংস্থাগুলি বিপুল অর্থের চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপন দেয়। তাছাড়া, সরকারি বিভিন্ন বিভাগে তাদের অত্যন্ত ভালো যোগাযোগ। তার ফলে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশ কঠিন। প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সরকারের শিল্পবান্ধব বিভিন্ন নীতি ও মডেলও।