• দিলীপ ইস্যুতে পদত্যাগের দাবি বিজেপির, ফুটেজ খেতেই আবলতাবল বকছে ‘লাল-পদ্ম’: গৌতম
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: জোড়া ফুলের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মন ইস্যুতে নাক গলাচ্ছে পদ্ম শিবির। তারা মেয়রের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন। এজন্য বৃহস্পতিবার পদ্ম শিবিরের এক নেতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। বলেন, ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার ফুটেজ খেতেই আবলতাবল বকছেন ওই পদ্ম নেতা। তাঁর বক্তব্য গুরুত্বহীন। এদিকে, বিদ্রোহী মেয়র পারিষদের সঙ্গে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের বিবাদ মেটাতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। পাশাপাশি, দলের আরএকাংশ অভিযুক্ত মেয়র পারিষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় রাজনীতি সরগরম। 

    এদিন মেয়রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির এক বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন, কাউন্সিলার বিবেক সিং এবং বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ সভাপতি রাজু সাহা ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়ক কোটার টাকা খরচে মেয়র সহযোগিতা করছেন না। এর প্রতিবাদে বিধানসভার সামনে অবস্থান ও অনশনে বসার হুমকি দিয়েছেন ওই বিধায়ক। একই সঙ্গে বিজেপি নেতারা বলেন, মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ। এজন্য অবিলম্বে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত গৌতমবাবুর। তাঁর স্বচ্ছতার প্রমাণ দেওয়া উচিত। 

    এজন্যই পদ্ম শিবিরের ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেয়র। বলেন, নিয়ম মেনেই বিধায়ক কোটার টাকার কাজ করা হচ্ছে। কিছু না জেনে আবালতাবল বকে হাওয়া গরম করতে চাইছেন বিজেপির ওই বিধায়ক। ফুটেজ লোভি ওই নেতাকে নিয়ে ভাবছি না। এখন হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। আর ৫২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। কাজেই ওদের বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, বিজেপির ওই নেতার গায়ে এখনও লালের গন্ধ রয়েছে। যারজন্য ওই নেতা শহরে ‘লাল বিজেপি’ হিসেবে পরিচিত। উনি চড়কায় তেল দিন। 

    এদিকে, একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেও বুক ফুলিয়ে চলছেন দিলীপ। এদিন দিলীপকে মীমাংসা প্রস্তাব দেয় তৃণমূলের একাংশ। দিলীপ বর্মন বলেন, মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে। তাতে আপত্তি নেই। যেকোনও দিন আলোচনায় বসতে পারি। 

    তৃণমূলের আরএকাংশের বক্তব্য, মেয়র পারিষদ শ্রাবণী দত্তের শাস্তি হয়েছে। তাই অবিলম্বে দিলীপের শাস্তি হওয়া উচিত। ওঁকে মেয়র পারিষদ থেকে অপসারণ করা উচিত। এছাড়া, বিরোধী দলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্কে রেখে চলছেন দিলীপ। কাজেই তাঁর ভূমিকা দলের পক্ষে ভালো নয়। দিলীপ অবশ্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। কোনও অবস্থাতেই দল ছাড়ছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)