• কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি ঘাট রুটে আবার বাস চালুর দাবি
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: নিয়মিত বাস চলত কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি ঘাট ভায়া তারানগর, নিশ্চিন্তপুর রুটে। তখন তেহট্ট, কৃষ্ণনগর বা অন্য জায়গায় যাতায়াতে সুবিধা ছিল। বর্তমানে ওই রুটে টোটো ও অটোর দাপটে কোনও বাস চলাচল না করায় অসুবিধার মুখে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই। তাই বন্ধ হয়ে যাওয়া বাস পরিষেবা ফের চালুর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    এবিষয়ে বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাধন বিশ্বাস বলেন, অবৈধ টোটো ও অটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা আবার ওই রুটে বাস চালাব।

    জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি ভায়া তারানগর নিশ্চিন্তপুর হয়ে বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করত। এমনকি কুলগাছি ঘাট থেকে বহরমপুর যাওয়ার বাসও এই রুটে চলত। এর ফলে রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আরশিগঞ্জ, রঘুনাথপুর, নিশ্চিন্তপুর, তারানগর, ধাওরাপাড়া সহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সহজেই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে পারত। এই এলাকার বাসিন্দাদের নিত্য প্রয়োজনে তেহট্টে বা পলাশীপাড়া যেতে হয়। তেহট্টে আছে আদালত, মহকুমা অফিস, পরিবহণ দপ্তর, কলেজ আবার পলাশীপাড়ায় আছে ব্যাঙ্ক, ব্লক অফিস, দপ্তর বাজার সহ সবকিছু। ফলে ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সব কিছুর জন্য যেতে হয় তেহট্টে না হয় পলাশীপাড়ায়। এই বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। 

    এখন টোটো কিংবা অটোয় যাতায়াত করতে সাধারণ মানুষের সময় যেমন বেশি লাগছে তেমন টাকা খরচও বেশি হচ্ছে। তাই এলাকার মানুষের দাবি আবার এই বাস সার্ভিস ফের চালু করা হোক। বাস পরিষেবা চালু হলে রাতে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবে গ্রামের মানুষজন। সন্ধ্যার পরে বা রাতের দিকে  কৃষ্ণনগর বা কলকাতায় কাজে যাওয়া মানুষজন বাস ধরে নামতে হয় আরশিগঞ্জ বা ধাওরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। তারপর গন্তব্যে পৌছনোর হ্যাপা। রাতের দিকে অনেককেই হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। কোন রিকশ বা টোটো পাওয়া যায় না। 

    জেলা শহর বা কলকাতা থেকে রাত ৮টার পর বাড়ি ফিরতে কালঘাম ছুটে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই বাস পরিষেবা যাতে পুনরায় চালু হয় সে দিকে প্রশাসনের নজর দিলে ভালো হয়। এতে আমরা রাতে স্বাচ্ছন্দে ঘরে ফিরতে পারব। ব্যবসার সুবাদে অনেক সময় ফিরতে রাত হয়ে যায়। বাস পরিষেবা ফের চালু হলে ভালো হয়। পরিবহণ দপ্তরের অনুমতি নিয়ে রোটেশনে  সাত থেকে ১০টি বাস নিয়মিত চলত। এই বাস পরিষেবা পুনরায় চালু হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। রাতে  বাস থেকে নামতে হয় রাধানগর  বাসস্ট্যান্ডে, ওখান থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। কোনও গাড়ি পাওয়া গেলে ভাড়া হাঁকে নিজের মর্জি মাফিক। যা গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের 

    সাধ্যের বাইরে। তাই মানুষের দাবি, এই বাস সার্ভিস 

    ফের চালু হোক।  করিমপুর বাসস্ট্যান্ড। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)