আরামবাগে মুণ্ডেশ্বরী থেকে বেআইনিভাবে বালি উত্তোলন, রাজনৈতিক চাপানউতোর
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগের হরিণখোলা এলাকায় মুণ্ডেশ্বরী নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি উত্তোলন হচ্ছে। এমনই অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। বালি পাচারের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। বৃহস্পতিবার পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ আরামবাগের মহকুমা শাসক ও হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম-কে মেল করে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এদিনই সেচ, ভূমিদপ্তর, মহকুমা প্রশাসনের তরফে যৌথ পরিদর্শন করে বালি খননের কাজ স্থগিত করে প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে ভূমিদপ্তরের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সেচদপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, মুণ্ডেশ্বরী নদী ড্রেজিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে নো-অবজেকশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নদীর যে অংশে খনন করার উচিত তার জায়গা এখনও চিহ্নিত হয়নি। তার আগেই খনন কাজ শুরু করা হয়। তাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খননের জন্য নমুনা সামগ্রী ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। বিজেপি বিধায়ক ফেসবুকে লেখেন, আরামবাগ-তারকেশ্বরের মাঝে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর রেল সেতুর নীচ থেকে তৃণমূল নেতারা বালি তুলে পাচার করছে। তৃণমূল নেতা তথা প্রধান পার্থ হাজারি, আয়ুব খানের দলবল এই কাজ করছে। বিমানবাবু বলেন, হরিণখোলা এলাকায় রেল ব্রিজের নীচে বেআইনিভাবে বালি পাচারে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তরফলে ব্রিজের ক্ষতি হতে পারে। আমরা অভিযোগ করলে প্রশাসন অভিযান করে। অবৈধভাবে বালি তোলা বন্ধ না হলে আমরা আন্দোলন করব।
যদিও প্রধান পার্থবাবু বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার এটি বিষয়। এখানে আমার কোনও ব্যাপার নেই। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা এসআইআর-এর কাজ নিয়ে মানুষকে সাহায্য করছি। বিজেপির কাজ রাজনীতির নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
নিজেকে ঠিকাদার সংস্থার কর্মী দাবি করে আয়ুব খান বলেন, আমরা বৈধভাবেই খনন কাজ করছিলাম। তারজন্য চালানও রয়েছে। রেল ব্রিজ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই কাজ হচ্ছিল। প্রশাসন পরিদর্শন করতে এসে সব কিছু যাচাই করেছে। শুধু জায়গা চিহ্নিতকরণ করে কাজ করার নির্দেশ দেয়। তার ভিত্তিতে কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট অনুমতি পেলে ফের কাজ হবে।
আরামবাগের মহকুমা শাসক রবি কুমার বলেন, বিধায়কের অভিযোগ এখনও দেখা হয়নি। তবে একটা যৌথ এনকোয়ারি হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলে খতিয়ে দেখা হবে। নিজস্ব চিত্র