• শুধু শহরের ছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, পুরুলিয়ার শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বির্তক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। জেলার নামী স্কুলে কেন শুধুমাত্র শহরের বাসিন্দারাই পড়াশোনার সুযোগ পাবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও আইন মেনেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।

    পুরুলিয়া শহরের অন্যতম পুরনো এবং নামী স্কুল শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়। মেয়েদের ভালো পড়াশোনা এবং মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ই একাধিক সময় শান্তময়ী স্কুল জেলার প্রথম সারিতে থেকেছে। তাই ওই স্কুলে পড়ার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়ুয়াদের ভিড় দেখা যেত। যদিও গত কয়েক বছরে ভর্তির ক্ষেত্রে শহরের এলাকার বাসিন্দারা সুযোগ পেয়েছে। চলতি বছরে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, ফর্ম তোলার জন্য পুরুলিয়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। যা নিয়েই বির্তক শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধুমাত্র গ্রামে থাকে বলেই কী ওই স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে না মেয়েরা? সরকারি নিয়ম হলে শহরের অন্যান্য স্কুলে একই নিয়ম নেই কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অনেকে সরব হয়েছেন। জেলার এক বাসিন্দা লিখেছেন, গ্রাম থেকে শহরে পানীয় জল আসবে, শহরের নোংরা জল শহর ঘুরে গ্রামে পড়বে, শহরের বাসিন্দাদের আবর্জনার স্তূপও হবে গ্রামে। অথচ গ্রামের মেয়েরা শহরের স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে না। তাদের গ্রামেই পড়তে হবে কেন সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। শহরের মানভূম ভিক্টোরিয়া স্কুলের টিআইসি রাজেশ দরিপা বলেন, আমাদের স্কুলে এমন কোনও নিয়ম নেই। জেলার যে কোনও প্রান্ত থেকেই ছেলেরা এখানে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারে। পুরুলিয়া জেলা স্কুলের শিক্ষক শেখ মুজ্জাফর আলি বলেন, সরকারি নিয়মে আমাদের স্কুলে নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী যে কেউ ফর্ম তুলতে পারে। এলাকার কোনও  ভাগ নেই।

    শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী পাল বলেন, সরকারি নিয়মে ভর্তির জন্য লটারি হয়। তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও গ্রাম নেই। তাই ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বির্তকের কোনও বিষয় নেই। শহর থেকেই পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫০জনের বেশি ছাত্রী ফি বছর ভর্তি হয়। তারচেয়ে বেশি সংখ্যক ছাত্রী ভর্তির মতো পরিকাঠামো নেই। বিষয়টি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককেও জানানো হয়েছে। 

    এবিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) মহুয়া বসাক বলেন, স্কুলকে ওই বিজ্ঞপ্তি ঠিক করতে বলা হয়েছে। ঩শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই স্কুলে ভর্তির আবেদন করার নিয়ম রয়েছে। সেকথা‌ ঩বিজ্ঞপ্তিতে লিখতে বলা হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)