• এটিএম থেকে জালিয়াতির টাকা তোলার সূত্র ধরেই ধৃত অভিযুক্ত
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাইবার জালিয়াতদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়া এবং সেখান থেকে টাকা তোলার অভিযোগে খুরশিদ আলম নামে এক অভিযুক্তকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে রাজাবাগান থানা। তার বিরুদ্ধে দু’লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই টাকা সে প্রতারকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    একটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন নিয়ে রাজাবাগান এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তরফে অভিযোগ করা হয়। তাতে পাঁচ লক্ষ টাকা জমা পড়ার পর সেটি অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে। তার ভিত্তিতে রাজাবাগান থানা জালিয়াতি, প্রতারণার কেস রুজু করে। দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে সালমা বিবি নামের এক মহিলার নামে। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছাড়াও আরও একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখানেও সালমা বিবির নথি দিয়ে খাতা খোলা হয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলে, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিলে টাকা পাওয়া যাবে। ওই টাকার লোভেই তিনি অ্যাকাউন্ট খুলতে রাজি হন। ওই ব্যক্তি তাঁকে ব্যাংকে গিয়ে দু’টি অ্যাকাউন্ট খোলায়। কিন্তু পাশবই, এটিএম কার্ড কিছুই তাঁকে দেওয়া হয়নি। তদন্তে জানা যায়, ওই অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। আবার ওই টাকা তোলা হয়েছে এটিএম থেকে। এটিএম কার্ডের সূত্র ধরে পুলিশ চিহ্নিত করে সেই এটিএমকে। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা খুরশিদকে। বুধবার রাতে রাজাবাগান এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সে সাইবার জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তার কাজ এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা। নথি জোগাড় করে অ্যাকাউন্ট খোলার দায়িত্বে আছে অন্য কেউ। খুরশিদের সঙ্গে আবার বিভিন্ন পোস্ট অফিসের ডাক সেবকদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরাই ব্যাংকের পাঠানো নথি খুরশিদকে দেন। তাকে জেরা করে জালিয়াত চক্রের বেশ কয়েকজনের নাম হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাদের খোঁজ চলছে।

    এদিকে, সিনেমায় টাকা লগ্নির নাম করে ১ কোটি ৮০ লক্ষ প্রতারণার অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করেছে এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম শ্যামকুমার দে। গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। বৃহস্পতিবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক ধৃতকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী বলেন, ধৃতের কাছ থেকে যে সব কাগজপত্র মিলেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তার যাবতীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী নির্দিষ্ট সময় কেটে গেলেও লভ্যাংশ না পাওয়ায় শ্যামকুমারের সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি ফোন বন্ধ করে দেন। অভিযোগ, লভ্যাংশ তো দূরের কথা, আসলও তিনি ফেরত পাননি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্তকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করে।
  • Link to this news (বর্তমান)