• পাটুলিতে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্লগের জন্য ছবি তুলতে পাটুলিতে এসে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এক যুবকের। কয়েকদিন কথাবার্তার পর সেই তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর থেকে একলক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলেও দাবি তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তৃষাণ দাস নামে ওই অভিযুক্তকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে থানা।

    তরুণী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তিনি ইউটিউবে চ্যানেল চালান। সেই সঙ্গে ব্লগও করেন। ব্লগের জন্য শ্যুটিং করতে অক্টোবর মাসের শুরুতে পাটুলি ঝিলপাড়ে যান। ওই দিন সেখানে এসেছিলেন অভিযুক্ত তরুণও। সেখানেই তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। মোবাইল নম্বর আদানপ্রদানের পর তরুণী বাড়ি চলে যান। পরে ধীরে ধীরে তরুণী ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়ান। প্রায়ই তাঁরা দেখা করতেন। তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানান অভিযুক্ত। ফলে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে বেড়াতেও যান। এরপর চলতি মাসের ৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত। সেখানে গেলে তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন ওই তরুণ।   ধর্ষণের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেও রাখেন। অভিযোগ, এরপর বেড়াতে যাওয়ার নাম করে গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। ওই ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছে এক লক্ষের বেশি টাকা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তা দেন। এরপর আরও টাকা দাবি করতে থাকেন অভিযুক্ত। তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল করে দেন অভিযুক্ত। বিষয়টি জানতে পারার পর তরুণী বুধবার পাটুলি থানায় গিয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারে, তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে রয়েছেন। রাতেই সেখানে হানা দিয়ে অভিযুক্ত তৃষাণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি পাটনায় পালাচ্ছিলেন। ওই তরুণীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গেও তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই কারণেই অভিযোগকারিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার চেষ্টা করছিলেন। ওই তরুণ এর আগে অন্য কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে লিগ্যাল এডের আইনজীবী সৈকত রক্ষিত বলেন, অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীর বন্ধু ছিলেন। আর ধর্ষণের ঘটনা যখন ঘটাচ্ছিলেন, তখন তার ভিডিও তিনি করলেন কী করে? সরকারি আইনজীবী সাজ্জাদ খান বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। তার প্রমাণ মিলেছে। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সওয়াল শেষে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)