এই সময়: এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এর আগে তিনি একাধিক বার্তা দিয়েছেন। টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চ থেকে তিনি কখনও হিংসা বর্জন করার, কখনও আবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্লট টেলি-ধারাবাহিক থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। এ বার ধারাবাহিকের মাধ্যমে সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আলিপুরের ‘ধন ধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পুরস্কৃত হলেন ছোট পর্দার তারকারা।
টেলিভিশনকে বরাবরই সামাজিক দর্পণের আখ্যা দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে এ দিন তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলের সবথেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা বৃদ্ধি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়তো ঠিক ভাবে পৌঁছচ্ছে না। টেলিভিশনের মাধ্যমেই কখনও কখনও সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি করতে হয়।’ আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মূল স্লোগান— ‘বাংলা ও বাঙালি’। এ দিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই মাটিই কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে, এই মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। আমি সেই মাটিটাকে চেনানোর জন্য বলছি। এটা একটা পরিবার। টেলিভিশনের মাধ্যমে এই বার্তা ভালো ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়।’
পাশাপাশি টেলিপাড়ার শিল্পী কলাকুশলীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে মমতার সংযোজন, ‘অনেক নতুন শিল্পী আসছেন, ট্রেনিং নিচ্ছেন। পুরোনোরাও রয়েছেন। আমি মনে করি, টেলিভিশন হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের দর্পণ। সমাজশিক্ষা, সমাজের আলোড়ন, ভাষার সংকলন। এই জগৎটা না থাকলে মানুষের বিনোদন অনেকটাই অধরা থেকে যেত।’ এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে সিনে টেকনিশিয়ানস-এর কল্যাণ তহবিলে রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হলো।