• বোমা তৈরির ৪২টি ভিডিয়ো পাঠায় পাক হ্যান্ডলার, দিল্লির বিস্ফোরণের তদন্তে বড় তথ্য
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে বৃহস্পতিবারই চার জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে NIA। চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল গনাই, চিকিৎসক শাহিন শাহিদ, চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠের এবং মুফতি ইরফান আহমেদ ওয়াঘিকে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুজাম্মিলের সঙ্গে পাকিস্তানের এক জৈশ হ্যান্ডলারের প্রতক্ষ যোগাযোগ ছিল। মুজাম্মিলের কাছে ওই হ্যান্ডলার বেশ কিছু বোমা তৈরির ভিডিয়ো পাঠিয়েছিল।

    সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের মৌলবী ইরফান আহমেদের মাধ্যমে ওই হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল মুজাম্মিলের। জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের ওই হ্যান্ডলার ‘হানজুল্লা’ নামে পরিচিত। যদিও এটি ওই হ্যান্ডলারের ‘কোড নেম’ বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। ওই হ্যান্ডলার এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে মোট ৪২টি বোমা তৈরির ভিডিয়ো পাঠিয়েছিল।

    ১০ নভেম্বরের ঘটনার তদন্ত করে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউল কয়েকমাস ধরে দিল্লি, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ-সহ বিভিন্ন হাই প্রোফাইল এলাকা ‘টার্গেট’ করে ২০০টি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করছিল। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়ি ছাড়াও আরও দু'টি গাড়ি কেনা হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে হ্যান্ডলারের পাঠানো ভিডিয়ো দেখেই বোমা তৈরি হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    পাশাপাশি তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ও। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, হোয়াইট কলার মডিউল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা পাচারের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ওখলায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর দপ্তর-সহ কমপক্ষে ২৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশির সময় ৪৮ লক্ষ টাকারও বেশি নগদ, একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি উদ্ধার হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)