• আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার আদি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার নোটিস
    এই সময় | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • বিনিয়োগের জন্য টাকা নিয়েও তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ। পাওনাদারদের চাপে ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশের মোহতে অবস্থিত নিজেদের জন্মভিটে ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকি এবং তাঁর পরিবার। দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক ধৃতের সঙ্গে যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র উঠে আসছে, তখন তদন্তকারীদের নজরে সিদ্দিকি পরিবার। এ বার মোহতে অবস্থিত সিদ্দিকিদের আদি বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল ‘মোহ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড’। বেআইনি নির্মাণের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিকিদের ওই বাড়ি এলাকায় 'মৌলানা বিল্ডিং' হিসেবে পরিচিত, যা তৈরি করেছিলেন জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাবা মহম্মদ হাম্মাদ সিদ্দিকি। বাড়িটি চারতলা। ১৯৯০ সালে তা তৈরি করা হয়। বাড়িটিতে রয়েছে ২৫টি জানলা এবং একটি বড় বেসমেন্ট।

    ক্যান্টনমেন্টের ইঞ্জিনিয়ার হরিশঙ্কর কালোয়া এই নোটিস দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংটি রয়েছে হাম্মাদ সিদ্দিকির নামে। তিনি প্রয়াত। এর পরে বিল্ডিংয়ের মালিকানা বদল হয়নি। অন্যদিকে, ক্যান্টনমেন্টের আইন অনুযায়ী, পুনরায় নির্মাণ বা সংস্কারের অনুমতি শুধুমাত্র মালিক অর্থাৎ রেজিস্টার টাইটেলহোল্ডারকেই দেওয়া হয়। যেহেতু ওই বাড়িটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়নি, তাই তা বেআইনি।

    উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৪ জনের। সেই ঘটনায় ধৃতদের কোনও না কোনও যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। ‘সুইসাইড বম্বার’ উমর-উন-নবিও আল ফালাহ-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ কোথা থেকে আসছে, তা জানতে ইডি তদন্ত শুরু করেছে। জাভেদের ভাই হামুদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গত ২০ বছরের পুরোনো এক বিনিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)