তাঁর বাড়ি শীতলকুচি ব্লকের বড় ধাপেরচাত্রা এলাকায়। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। এলাকায় তিনি ২০৫ নম্বর বুথের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এসআইআর-এর কাজ শেষ করে মাথাভাঙা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ললিত অধিকারী। সেই সময় ধরলা সেতুর কাছে একটি দ্রুতগামী বাস তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। প্রচণ্ড শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমিক চিকিৎসায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা দ্রুত তাঁকে রেফার করে দেন।
পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা চলার পর, মৃত্যু হয় তাঁর।
বৃহস্পতিবার এসআইআর ইস্যুতে কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাতে তিনি, দেরি না করে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বিএলও-দের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।’ কৃষিক্ষেত্রের এই ব্যস্ততম সময়ে SIR প্রক্রিয়া চলায়, তা সাধারণের উপরেও ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান উল্লেখ করেছেন সেই বিষয়টিও।