আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় তীব্র ভূমিকম্প, সাতসকালে কেঁপে উঠল শহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা, সকাল দশটা আট নাগাদ কেঁপে ওঠে আচমকা। কম্পন বুঝতে পেরেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন স্থানীয়রা। বহুতলগুলি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকেই। সল্টলেক অফিস পাড়ায় কর্মীরা তৎক্ষণাৎ টের পেয়েই নীচে নেমে আসেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।
কেবল কলকাতা নয়, শুক্রবার সকালে কলকাতার সঙ্গেই কম্পনে কেঁপে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। একইসঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশের ঘোরাশাল। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপে ওঠে চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ,নারায়নগঞ্জ,পটুয়াখালি, বগুড়া, বরিশাল। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকা-সহ পড়শি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। তীব্র কম্পন অনুভূত হয় কয়েক সেকেন্ড পর্যন্ত।
এর আগে, ২০ নভেম্বর, অর্থাৎ গতকাল ইন্দোনেশিয়ার সেরাম অঞ্চলে ফের জোর ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬। বৃহস্পতিবার এই খবর জানায় জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস।
সংস্থাটি জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার গভীরে, যা তুলনামূলকভাবে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত। গভীরতা বেশি হলেও এর কম্পন সেরাম ও আশপাশের এলাকায় স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়। ঘটনাটি ঘটে ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা আগে সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর, ফলে অঞ্চলে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। তবে ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।