শিশুর চোখের কোনে ক্ষত, ফেভিকুইকে চিকিৎসা যোগীরাজ্যের ডাক্তারের! শুরু তদন্ত
প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মীরাটে চিকিৎসায় চরম গাফিলতি বেসরকারি হাসপাতালে। আড়াই বছরের এক শিশুর চোখের পাশে গভীর ক্ষত সেলাই না করে তাতে ‘ফেভিকুইক’ লাগিয়ে দিলেন বেসরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসক! পরে শিশুটির যন্ত্রণা আরও বেড়ে গেলে শেষপর্যন্ত অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ক্ষতস্থান থেকে আঠা সরিয়ে সেলাই করতে হয়। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, শুরু হয়েছে তদন্ত।
পরিবারের অভিযোগ, দু’দিন আগে খেলতে খেলতে টেবিলের কোণায় মাথা ঠুকে যায় ছোট্ট মানরাজ সিংয়ের। চোখের পাশে গভীর ক্ষত হয়ে রক্তপাত শুরু হয়। আতঙ্কিত পরিবার তাঁকে দ্রুত নিয়ে যায় নিকটবর্তী ভাগ্যশ্রী হাসপাতালে। মানরাজের মা ইরভিন কৌর জানিয়েছেন, হাসপাতালের ডাক্তার শিশুটির বাবাকে ফেভিকুইক আনতে বলেন। ক্ষত পরিষ্কার না করেই চিকিৎসক সেটাই ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেন। অভিভাবকরা ইনজেকশন, সঠিক ড্রেসিং এবং সেলাইয়ের কথা বললেও চিকিৎসকদের জবাব ছিল, “এর প্রয়োজন নেই।” এরপরেও শিশুটি ব্যথা না কমার অভিযোগ করায়, ডাক্তার বলেন শিশুটি নার্ভাস হয়ে রয়েছে এবং দ্রুত সমস্যা কমে যাবে।
মনরাজের মা ইরভিন কৌর জানিয়েছেন, এরপরেও তিনি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন টিটেনাস ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন আছে কিনা। ডাক্তার জানিয়ে দেন, টিটেনাসের প্রয়োজন নেই। যদিও, পরের দিন সকালেও শিশুটির ব্যথা কমেনি। সেই সময়ে শিশুটির পরিবার মনরাজকে লোকপ্রিয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তিন ঘন্টা ধরে ক্ষতস্থান থেকে আঠা সরিয়ে তারপর চারটি সেলাই করেন।
পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন আঠা মনজিতের চোখে ঢুকে গেলে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারত। তাঁরা মিরাটের প্রধান চিকিৎসা আধিকারিক ডাঃ অশোক কাটারিয়ার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাটারিয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।