সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে বার বার উঠে এসেছে পরিবারতন্ত্রের কথা। সব নেতাই চেষ্টা করেছেন পরবর্তী প্রজন্মকে রাজনীতির ময়দানে একটি পাকাপোক্ত জায়গা করে দিতে। এর মাঝেই একদম অন্য সুর ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পরিবার। চিরকাল রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নীতীশের ছেলে নিশান্ত বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দশমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে।
জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে রেকর্ড করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ এনডিএ-র শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে। পাটনার গান্ধী ময়দানের এই অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে ছিলেন নীতিশ কুমারের একমাত্র পুত্র নিশান্ত।
৫০ বছর বয়সী নিশান্ত বিহারের রাজনীতিতে ব্যতিক্রম। নিশান্ত সবসময়ই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ সাধারণত থাকে না। অভ্যাস বদলে এবার সংবাদ্মধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “দশমবার শপথ নেওয়ার জন্য বাবাকে অভিনন্দন। আমাদের জয় নিশ্চিত করার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ।”
বাবার জয় সম্পর্কে নিশান্তের বক্তব্য, “আমি আশা করেছিলাম তিনি জিতবেন, কিন্তু মানুষ আমাদের প্রত্যাশার থেকেও বেশি বিশ্বাস করেছে। গতবার আমরা ৪৩টি আসন জিতেছিলাম। আমার বাবা টানা কাজ করেছেন। এবার মানুষ তাঁকে পূর্ণ হৃদয়ে সমর্থন করেছে। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।”
এর পাশাপাশি, মহিলা ভোটারদের কথা উঠে এসেছে তাঁর মুখেও। নিশান্ত বলেন, এনডিএ-র জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন মহিলা ভোটাররা। তিনি বলেন নীতীশ দুই দশকের শাসনকালে মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছেন। এনডিএ-র এই বড় জয়ের পিছনে জোট শরিকদের সমর্থন এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
যদিও, নিজের রাজনীতিতে প্রবেশ সম্পর্কে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। পেশায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী নিশান্ত বিআইটিএস মেসরা থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি এক সময়ে নিজেই জানিয়েছিলেন রাজনীতিতে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই এবং তিনি রাজনীতি বোঝেন না। তাঁর প্রথম পছন্দ আধ্যাত্মিকতা। যদিও, সাম্প্রতিক অতীতে তাঁকে বাবার সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। দলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক আলোচনাতেও তিনি সম্প্রতি অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-বিজেপি জোট ২০২টি আসন পেয়েছে। বিজেপি ৮৯টি আসন জিতেছে, আর জেডিইউ ৮৫টি আসন পেয়েছে। ২০২০ সালে জেডিইউ-এর জেতা ৪৩টি আসনের প্রায় দ্বিগুণ আসন জিতেছে তাঁরা।