• বিহারের মন্ত্রিসভায় ১০ ‘পরিবারতন্ত্রের ফসল’, কোনও ভোটে না লড়েই মন্ত্রী কুশওয়াহার ছেলে
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপক প্রকাশ। বৃহস্পতিবারের আগে যার নামটা বিহারের বাইরে তো বটেই বিহারের বহু রাজনীতি সচেতন মানুষও জানতেন না। না জানারই কথা। কারণ দীপক প্রকাশ নামের ওই যুবক কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিলেন বিদেশে। বিহারের রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। কোনওদিন ভোটেও লড়েননি। মাঠে নেমে রাজনীতি করেননি। কোনও দলের ঝান্ডা ধরেননি। এমনকী কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন না। অথচ নীতীশ কুমারের দশম মন্ত্রিসভায় তাঁকে মন্ত্রী করে দেওয়া হল স্রেফ পরিবারের পরিচিতির ভিত্তিতে।

    দীপক প্রকাশের পরিচয় হল, তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিহার বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহার ছেলে। তাঁর মা স্নেহলতা কুশওয়াহাও এবার বিধায়ক হয়েছেন। দল হিসাবে এনডিএর শরিক কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। তাঁদের কোটায় যে মন্ত্রক গিয়েছে, সেটি নিজের ছেলেকে দিয়েছেন উপেন্দ্র। এই দীপক কোনওদিন ভোটে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, সক্রিয় রাজনীতিও করেননি। একেবারেই অনভিজ্ঞ। সম্ভবত তাঁকে ঘুরপথে বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে এনডিএ।

    তবে শুধু দীপক নন, নীতীশের মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যের মধ্যে ১০ জনই পরিবারতন্ত্রের ফসল। অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খোদ উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। তাঁর বাবা শকুনি চৌধুরী একসময় মন্ত্রী ছিলেন। মা-ও ছিলেন বিধায়ক। মন্ত্রী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির ছেলে সন্তোষ সুমনও। তাঁর মা-ও বিধায়ক হয়েছেন এবার। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং ও মা পুতুল কুমারীর মেয়ে শ্রেয়সী সিং মন্ত্রী হয়েছেন। এছাড়াও রমা নিশাদ, বিজয় চৌধুরী, অশোক চৌধুরী, নীতীন নবীন, সুনীল কুমার লেশি সিং, সকলেরই পরিবারের কেউ না কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

    নীতীশ কুমার আজন্ম লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি বরাবর তোপ দেগে আসছে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে। অথচ এই দুই শরিকের সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি পরিবারতন্ত্রের ফসল, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)