হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: আগামী ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের ১৯১ ফুট উঁচু চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করবেন। অযোধ্যায় পতাকা উত্তোলনের এই বিরাট উৎসব বৃহস্পতিবার কলশ যাত্রা দিয়ে শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে অযোধ্যায় প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
অযোধ্যা শুধু একটি আধ্যাত্মিক তীর্থস্থান নয়, এটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। শ্রীরামমন্দির নির্মাণের পর পর্যটকের আগমন চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। ২০২০ সালে প্রায় ৬০ লাখ পর্যটক অযোধ্যায় এসেছিলেন। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে প্রায় ২,৩০০ লাখ পর্যটক এসেছেন। মনে করা হচ্ছে, বছর শেষে পর্যটকের সংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী সরকারগুলি অযোধ্যায় সংস্কার ও উন্নয়নে কোনও গুরুত্ব দেননি। ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেন। দীপাবলি উপলক্ষে শুরু হয় দীপোৎসব। অযোধ্যাকে ২০৩১ সালের মধ্যে হাই-টেক সিটি হিসেবে গড়ে তোলার মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একে বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে। বিলাসবহুল কটেজ, ওয়াটার স্পোর্টস, রিভার ক্রুজ এবং হেলিকপ্টার জয়রাইডের ব্যবস্থা থাকবে। বৈদিক ও যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও তৈরি করা হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই উন্নয়নে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। উত্তরপ্রদেশের পর্যটন শিল্প আগামী কয়েক বছরে ৭০,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছবে। এর প্রায় ২৫% আসবে অযোধ্যা থেকে। রাজ্যের জিএসডিপি-তে প্রায় ১.৫% অবদান অযোধ্যার। এটি উত্তরপ্রদেশের এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্য পথে বড় সাফল্য।
পর্যটকদের চাপ সামলাতে ১,৪০৭ একর জমিতে স্মার্ট এবং পরিবেশ-বান্ধব টাউনশিপ তৈরি হচ্ছে। এর খরচ ২,১৮২ কোটি টাকা। ‘রাম বন গমন পথ’ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪,৪০৩ কোটি টাকা। ২০৪৭ সালের মধ্যে অযোধ্যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।