• দশম শ্রেণির পড়ুয়ার আত্মহত্যার পরই বরখাস্ত ৪ শিক্ষক, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্যানেল দিল্লির
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি সরকার সেখানকার স্কুলগুলিতে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দিল্লিতে একটি ছাত্রের আত্মহত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই কথা জানিয়েছে বিজেপি সরকার। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আশিস সুদ ঘোষণা করেছেন, এই তদন্তের জন্য গঠিত প্যানেলটি একটি রিপোর্ট জমা দেবে। এর পাশাপাশি, সরকার সমস্ত স্কুলকে চিঠি লিখবে। সিবিএসই নির্ধারিত মানসিক স্বাস্থ্যের মান বাস্তবায়িত করার নির্দেশ থাকবে এই চিঠিতে। এই প্রসঙ্গে, সরকারের তরফে প্রয়োজনিয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আশিস সুদ আরও বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাইনা তাঁদেরকে অবসাদ গ্রাস করুক।’ এই ঘটনায় পুলিশ একটি এফআইআর করেছে। ওই ছাত্রের বলা ঘটনাগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে এবং বিবৃতি রেকর্ড করছে।

    বৃহস্পতিবার, ‘সরি মা, শেষ বার তোমার মন ভাঙছি…’, লিখে দিল্লিতে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছে স্কুলের প্রিন্সিপাল-সহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মৃত পড়ুয়ার বাবার দাবি, শিক্ষকদের মানসিক অত্যাচারের কারণে চরম পথ বেছে নেয় তাঁর ১৬ বছরের ছেলে। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক-সহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ রাজেন্দ্র প্লেস স্টেশনে ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। নাটকের ক্লাসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর ওই কিশোর মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দেয়। তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ব্লক হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্তার অভিযোগ এনেছে পড়ুয়া। শেষ চিঠিতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দীর্ঘদিনের বকাঝকা, অপমান এবং মানসিক চাপে ভেঙে পড়ার কথা জানিয়েছে কিশোর। সেই চাপেই যে সে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে, তাও জানিয়েছে! পাশাপাশি আত্মঘাতী হওয়ার জন্য বাবা-মা ও দাদার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।

    মৃত পরুয়ার বাবা একাধিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ছেলের আচরণগত পরিবর্তন এবং মানসিক দুশ্চিন্তার বিষয়টি তারা লক্ষ্য করেছিলেন। সেই বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ অথবা শিক্ষকরা কোনও সদার্থক পদক্ষেপ করেননি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)