সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার মামলায় আপাতত স্বস্তি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। শুক্রবার এই মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এখনই কোনও চার্জশিট দায়ের করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ১২ নভেম্বর এই মামলায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের আবেদন মঞ্জুর করেছিল লোকপাল। তার বিরোধিতায় মহুয়ার আইনজীবী দিল্লি হাই কোর্টে আর্জি জানালে এদিন বিচারপতিরা সিবিআইয়ের ওই পদক্ষেপ আটকে দেওয়ার কথা জানান। এখনই মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া যাবে না নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। এই নির্দেশ মহুয়ার পক্ষে জয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ঘুষের বিনিময়ে লোকসভায় আদানি বিরোধী প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের তোলা অভিযোগের জেরে লোকসভা ভোটের আগেই মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল হয়। সংসদীয় কমিটির তদন্তের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে। এনিয়ে জল গড়ায় বহু দূর। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে এ বিষয়ে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দেয় লোকপাল। চার্জশিট জমা করার জন্য চার সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধেও দেওয়া হয়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৩ সালের লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইনের ২০(৭) (ক) ও ২৩(১) ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সিবিআইকে চার্জশিট দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবশ্য এও জানানো হয়েছে যে, চার্জশিট জমা দেওয়া মানেই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে, এমনটা নয়। নির্দেশিকায় লোকপাল জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদন বিবেচনা করা হবে।
আর এখানেই দিল্লি হাই কোর্টে ধাক্কা খেল সিবিআই। লোকপালের ওই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী নিধেশ গুপ্তা। বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শংকরের বেঞ্চে শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল। তাতে বিচারপতিদের নির্দেশ, এখনই সিবিআই কোনও চার্জশিট দিতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। রায় ঘোষণা হলেই স্পষ্ট হবে, ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার মামলা থেকে মহুয়া মৈত্র আদৌ পুরোপুরি অব্যাহতি পেলেন কিনা।