• ‘SIR-এর চাপ নিতে পারছি না’, গুজরাটে আত্মঘাতী বিএলও, সুইসাইড নোটে শোরগোল
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআরের কাজের চাপে আত্মঘাতী শিক্ষক! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ জেলার কোডিনার এলাকায়। পেশায় শিক্ষক মৃত ওই বিএলও কর্মীর নাম অরবিন্দ মুলজি ভাধের। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ৪০ বছরের ওই যুবক লিখেছেন, এসআইআরের কাজের প্রবল চাপ তিনি নিতে পারছেন না। যার জেরেই এই আত্মহত্যা। ৪০ বছর বয়সি অরবিন্দের মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর ফুঁসে উঠেছেন রাজ্যের বিএলওরা।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কোডিনারের এক প্রাথমিক স্কুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষক। মৃত্যুর আগে স্ত্রীর উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন তিনি। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার দ্বারা এসআইআরের কাজ করা আর সম্ভব নয়। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল কাজের চাপ ও মানসিক চাপে আমি বিধ্বস্ত। তুমি নিজের ও সন্তানের যত্ন নিও। আমি তোমাদের দু’জনকে ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু আমার কাছে এখন আর কোনও বিকল্প নেই। বাধ্য হয়েই আমাকে এই কাজ করতে হচ্ছে।’ চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার ব্যাগে এসআইআরের সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। যেগুলি স্কুলে জমা করে দেওয়া হোক।’

    অরবিন্দের চিঠি সামনে আসার পর প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অখিল ভারত শিক্ষক মহাসংঘ। গুজরাটে শিক্ষকদের দ্বারা এসআইআরের যে অনলাইন প্রক্রিয়া করা হচ্ছে তা অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। এবং এই প্রক্রিয়ায় জন্য অন্য কোনও বিকল্প রাস্তা খোঁজার আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে অরিন্দমের মৃত্যু ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিএলওদের প্রবল কাজের চাপ ও কাজের পরিবেশ নিয়ে। এসআইআর-এর কাজের চাপে এখনও পর্যন্ত দেশের নানা প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে বহু বিএলও-র।

    এর আগে গুজরাটের খেদায় এক বিএলও-র মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলার জলপাইগুড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন একজন। গত ৯ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানে একজন বিএলওর মৃত্যু হয়। পরিবার দাবি করে কাজের চাপেই ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজস্থান থেকে ২ জন বিএলওর মৃত্যুর খবর পওয়া গিয়েছে। একজন আত্মঘাতী হয়েছেন ও অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। তামিলনাড়ুর কুম্ভকোনম ও কেরালার কান্নুরে দুই জন বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)