• এনুমারেশন ফর্ম বিতরণে ‘অসুবিধা’ বিএলওর, তিস্তাপাড়ের দুর্গম বাহিরচরে শিবির প্রশাসনের
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: তিস্তার বাহিরচরে বসল এসআইআর (West Bengal SIR) শিবির। এলাকার ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করে তা জমা নিলেন বিএলও। ট্র্যাক্টর করে এলাকায় পৌঁছন বিডিও-সহ বিএলও ও অন্যান্যকর্মীরা। সমস্তটাই তদারকি করল ব্লক প্রশাসন। প্রশাসনের এই ব্যবস্থাপনায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে আসছেন বিএলওরা। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশেষ শিবির কেন?

    জলপাইগুড়ি সদরের ৩৭২টি পার্টের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও দুর্গম এলাকা তিস্তার বাহিরচর। সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই নদীর চরে প্রায় আটশো ভোটার রয়েছেন। এলাকাটি অনেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। চাষাবাদ এখানকার বাসিন্দাদের মূল জীবিকা। বর্ষায় নদীর জল বাড়লে নৌকা একমাত্র ভরসা বাসিন্দাদের। জল কমলে ট্র্যাক্টর করে যাতায়াত করেন তাঁরা। এই রকম এলাকায় এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় বিএলও গৌতম সরকারের পক্ষে। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজও শেষ করতে হবে।

    অসুবিধার বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের নজরে আনেন গৌতমবাবু। তা জানতে পেরেই বিএলওর পাশে দাঁড়ান বিডিও মিহির কর্মকার। ট্রাক্টর ভাড়া করে কর্মীদের নিয়ে পৌঁছে যান তিস্তার বাহিরচরে। দিনভর চলে শিবির। ভোটাররা ফর্ম পূরণ করে জমা দেন। ভোটার ঢাকেশ্বরী সরকার বলেন, “কঠিন অবস্থার মধ্যেই আমাদের দিন কাটে। আজ বিডিও, বিএলও সাহেবরা এখানে এসে এসআইআর ফর্ম দেন। আমরা তা জমাও দিয়েছি।” আরেক বাসিন্দা সাধন সরকার বলেন, “বিডিও সাহেব ছিলেন। ফর্ম জমা দিয়েছি। আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। না হলে নদী পার হয়ে অনেকটা দূরে যেতে হতো। প্রশাসনকে ধন্যবাদ।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)