• সাংগঠনিক ‘দুর্বলতা’ নিয়ে চিন্তা, ভোটের আগে বাংলায় বিজেপির রথযাত্রার ভাবনা
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একুশের মতো ছাব্বিশের ভোটের আগেও বাংলায় রথযাত্রা কর্মসূচির ভাবনা বিজেপির (BJP Rath Yatra)। একেবারে শীর্ষ নেতৃত্বস্তরে এই কর্মসূচি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নিচুতলাকে চাঙ্গা করতে রাজ্যজুড়ে বাংলা বাঁচাও যাত্রা নাম দিয়ে কর্মসূচি শুরু করছে সিপিএম। এরপরই গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির নিচুতলায় সংগঠন বহু জায়গাতেই তলানিতে। বহু বুথে কর্মী-সমর্থকরাও সক্রিয় নয়। কাজেই বুথ থেকে মণ্ডলস্তরে সংগঠনকে ভোটের আগে চাঙ্গা করতে একুশের মতোই এবার ছাব্বিশেও রথযাত্রা কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা।

    রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক খাঁচা অনুযায়ী ৫টি জোনকে কেন্দ্র করে এই রথযাত্রা হবে। হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের মধ্যে ১০টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। রাঢ়বঙ্গ জোন, নদিয়া জোন, কলকাতা জোন ও উত্তরবঙ্গ জোনের প্রতিটিতে ৮টি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্য জুড়ে বিজেপি ৫টি রথ বের করবে। এভাবে রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছনো তো যাবেই, পাশাপাশি দেওয়া হবে পরিবর্তনের বার্তা। জানা গিয়েছে, বিজেপি ঠিক করেছে, রাজ্যের ৫টি আলাদা আলাদা ক্ষেত্র থেকে বার হবে এই প্রচার রথ, এর মাধ্যমে ২৯৪টি বিধানসভা আসনই ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা প্রথম রথযাত্রার সূচনা করতে পারেন। তার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও এই রথযাত্রা কর্মসূচি শীর্ষনেতাদের একাংশের ভাবনার স্তরে রয়েছে। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি বলেই খবর।

    চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। তার পরই প্রথম রাজ্য কার্যকারিণী বৈঠকেই এই রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী নাকি দাবি করছেন উত্তরবঙ্গে বন্যায় কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ ও সহায়তায় বঞ্চিত করেছে। অথচ রাজ্য বাজেটে ৩.৬০ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৮৬১ কোটি টাকা। মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও বাজেটে বরাদ্দ মাত্র ০.২৩ শতাংশ।” সুকান্তর এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, “উত্তরবঙ্গে বিজেপির মাটি সরে যাচ্ছে। কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিজেপির দিকে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গকে সবরকমভাবে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি। মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে। জন বার্লার মতো নেতারা চলে এসেছেন। হতাশা থেকে সুকান্তবাবুরা এসব বলছেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)