• ‘নম্বর পাবেন সকলে’, প্রাথমিক টেটের ভুল প্রশ্ন মামলায় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক টেটের (Primary TET) প্রশ্ন ভুল মামলায় মোড় ঘোরানো পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। যাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অথবা হননি, তাঁরা সকলেই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পাবেন, শুক্রবারের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কোন পদ্ধতিতে , কাকে কত নম্বর দেওয়া হবে সেবিষয়ে আগামী সোমবার আদালতে জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজো মিটলেই নিয়োগ শুরু করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়। এই নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হোক তাঁদেরও, এই আবেদন জানিয়ে এবার হাই কোর্টের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনু্ত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর ভুল নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। রাজ্যের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় – প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সমাধানের জন্য।

    গত জুলাই মাসে চার সপ্তাহের মধ্যে সেই কমিটির মতামত রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। ফলে আইনি জটে আটকে ওই দুই বছরের চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অথচ তাদের বেশিরভাগই ১ অথবা ২ নম্বরের জন্য টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে দাবি। তাই তাঁদের এবার অর্থাৎ ২০২৫-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক। অন্যথায় আগের জট না কাটা পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিক আদালত। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সময়ে রিপোর্ট দিতে না পারায় চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবেন কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারীরা। শুক্রবার ২০১৭ এবং ২০২২ এর টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, যাঁরা আদালতে এসেছেন এবং যাঁরা আদালতে আসেননি প্রত্যেকে ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পাবেন। কোন পদ্ধতিতে, কাকে কত নম্বর দেওয়া হবে সেবিষয়ে আগামী সোমবার আদালতে জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)