• ‘বিএসএফ পয়সার জন্য এ সব করে!’ অনুপ্রবেশ প্রশ্নে দিলীপের তোপে শাহি মন্ত্রকের অধীন বাহিনী
    আনন্দবাজার | ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • রাজ্যে অনুপ্রবেশকারী-সমস্যা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দিকেই আঙুল তুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে রাজ্য পুলিশের মতো বিএসএফও বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দেয়। তাই দায় সকলেরই।

    শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। মেদিয়াবাজারে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেন। আলাপ-পরিচয়, গল্প করে নদীতে মাছও ধরেন। সেখানেই অনুপ্রবেশের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা। এসআইআর ঘোষণার পর থেকে স্বরূপনগর, হাকিমপুর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকা পুরুষ-মহিলারা বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। অভিযোগ, এত দিন ধরে তাঁরা অবৈধ ভাবে এ দেশে ছিলেন। এ নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ঢোকার দায়ভার কার, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দায়ভার উভয়পক্ষেরই। পুলিশ-বিএসএফ পয়সার জন্য করে এ সব (অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দেয়)। সাধারণ মানুষেরও কি দায়ভার নেই?’’ বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘যাঁদের জন্য আমাদের এত সমস্যা, তাঁদের ঢোকার দায় আমাদের সকলেরই।’’

    এসআইআরের আবহে দিলীপ আগে বলেছিলেন, বিএসএফের উচিত, বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্ত চেকপোস্ট খুলে দেওয়া। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘দেশ জুড়ে এসআইআর চলছে, কোথাও কিছুই হয়নি। কিন্তু এখানে মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমি বলব, বিএসএফের উচিত, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সমস্ত চেকপোস্ট খুলে দেওয়া...। যাঁরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাইকে সেখানেই রেখে আসা উচিত, ফিরে আসতে দেওয়া উচিত নয়। এটাই বাংলার জনসংখ্যা ১০-২০ লক্ষ কমানোর সুযোগ।’’ তবে শুক্রবার বিএসএফ নিয়ে দিলীপের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ।’

    গরু পাচার-সহ চোরাচালান নিয়ে যত অভিযোগ ওঠে সে জন্য বিএসএফকে একহাত নেয় রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত বলে থাকেন, সীমান্ত এলাকার পাহারা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাদের অধীনে কাজ করে বিএসএফ। কিন্তু তার পরেও অপরাধের ঘটনা ঘটলে দায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। মাসকয়েক আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্র এবং বিএসএফকে একযোগে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘‘এখানে গুন্ডা পাঠানো হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে ঢুকে খুনিরা খুন করে চলে যাচ্ছে। এর পিছনে বিএসএফের হাত রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারেরও একটা ব্লুপ্রিন্ট আছে। না-থাকলে এটা হতে না।’’ অন্য দিকে, দিলীপ বরাবরই বলেছেন রাজ্য সরকার নিজেদের ‘অকর্মণ্যতা’ ঢাকতে বিএসএফকে কাঠগড়ায় তোলে। সেই দিলীপের মুখে শোনা গেল অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফের ‘ব্যর্থতা’র কথা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)