• জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’, আউশগ্রামে গ্রেপ্তার ৪ স্কুলপড়ুয়া-সহ ৬
    প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ধীমান রায়, কাটোয়া: গ্রামের সমবয়সি নাবালকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা। বান্ধবীর সঙ্গে গ্রামের একটি দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। সেসময় ওই নাবালিকাকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম (Ausgram) থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে নির্যাতিতার মা আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই আউশগ্রাম থানার পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে চারজনই নাবালক স্কুলপড়ুয়া।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত সোমবার সন্ধ্যার। নির্যাতিতা নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। ওই বান্ধবী সোমবার সন্ধ্যায় পাড়ার অদূরে একটি দোকানে নির্যাতিতা নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কিনতে যায়। জঙ্গলের ভিতরের রাস্তা দিয়ে দু’জনে মিলে কেকের দোকানে যাচ্ছিল। সেই সময় অঘটন। অভিযোগ, ওই রাস্তা ধরেই দু’জনে যখন যাচ্ছিল তখন তাদের পথে আটকায় এলাকারই ৬ জন। তাদের মধ্যে দু’জন যুবক। বাকি চারজন নাবালক।

    তারা পথ আটকাতেই বান্ধবী ছুটে পালিয়ে যায়। তবে ওই নাবালিকাকে ধরে ফেলে যুবকেরা। এরপর জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ওই জঙ্গলে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে সে লোকলজ্জা ও হুমকির ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার স্কুলের এক বান্ধবীকে প্রথমে জানায়। সেই বান্ধবী সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের এক শিক্ষককে বলে। ওই শিক্ষক ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বৃহস্পতিবার রাতে এফআইআর দায়ের করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে ৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)