• দলবিরোধী কার্যকলাপের জের, সাসপেন্ড তমলুকের ‘বিতর্কিত’ তৃণমূল কাউন্সিলর
    প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • সৈকত মাইতি, তমলুক: তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে সরাসরি আইপ্যাককে আক্রমণ করে শীর্ষ নেতৃত্বের কোপের মুখে তৃণমূলের রাজ্য যুব সহ-সভাপতি তথা কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। শুক্রবার বিকেলে তমলুকের নিমতৌড়িতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘বিদ্রোহী’ ওই নেতাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ডের কথা জানানো হয়। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত রায় একথা জানান। এদিনও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়াতেই দল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ‘বিতর্কিত’ ওই কাউন্সিলর।

    তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত রায় বলেন, “কয়েকমাস ধরে তমলুকের কাউন্সিলর তথা রাজ্য যুব সহ সভাপতি পার্থসারথি মাইতি সোশাল মিডিয়ায় এবং সাংবাদিকদের সামনে দলবিরোধী কথাবার্তা বলছেন। ওই যুব নেতাকে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। উনি তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, সুকুমার দে, অখিল গিরি, এমনকি জেলা সভাপতি হিসেবে আমাকেও আক্রমণ করে চলেছেন। বারবার বলা সত্ত্বেও এই ধরনের অবাঞ্ছিত বক্তব্য থেকে আটকানো যায়নি। তাই আজকে রাজ্যের সর্বোচ্চ স্তর থেকে নির্দেশ মতো পার্থসারথি মাইতিকে দল থেকে সাসপেন্ড ঘোষণা করা হল। ইতিমধ্যেই তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।”

    কাউন্সিলরের বাবার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, “আমি ওঁর বাবা বর্ষীয়ান নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতির সঙ্গেও আজ একাধিকবার কথা বলেছি। তারপরেও এটা দুর্ভাগ্যের যে, আমি নাকি ওঁর বাবা চিত্তরঞ্জনবাবুকে ফোনে হুমকি দিয়েছি বলে অভিযোগ করেছেন পার্থসারথি। ফেসবুক লাইভ করে পার্থসারথি এমন অভিযোগ করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। চিত্তবাবু নিজেও তাঁর ছেলেকে এই ধরনের কাজকর্ম না করার জন্য একাধিকবার পরামর্শ দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি।” বিজেপির তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বিরোধী দলনেত্রী জয়া দাস নায়েক কটাক্ষ করে বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াতেই একজন রাজ্যনেতার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ। তবে এভাবে শাসকদলের অন্দরের দুর্নীতির গন্ধ চাপা দেওয়া সম্ভব হবে না। মানুষ সব দেখছেন। বুঝছেন। সোশাল মিডিয়ায় যার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)