অর্ণব দাস, বারাসত: নিজেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তা হিসেবে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এসআইআরের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ। আমডাঙা থেকে গ্রেপ্তার এক যুবক। কী উদ্দেশে এমন প্রতারণার ছক কষেছিলেন তিনি, এর নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না, সেসব জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আমডাঙা থানার পুলিশ। এসআইআরের কাজ হওয়ার মাঝে এধরনের ঘটনায় সতর্কতা বেড়েছে।
প্রথমে নিজেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে বিডিওকে মেল, পরে সরাসরি দেখা করে এসআইআরের কাজ করার কথা বলেছিলেন সামিউল শেখ নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, যোগ্য ভোটার বাছাইয়ের কাজ করবেন। তাই ভোটারদের সমস্ত তথ্য, নথি যাচাই করতে দেখতে চান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙার তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় যে সকল বাসিন্দাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই, অথচ যোগ্য ভোটার, তাঁদের ভোটার কার্ড পরীক্ষার জন্য এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রী এজেন্সির তরফে সমীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছিল সামিউল। শুক্রবার সেইমতো আমডাঙার বিডিওর সঙ্গে দেখাও করতে যান। কিন্তু তাঁর কথাবার্তায় অসংলগ্নতা টের পান বিডিও নবকুমার দাস।
এরপরই বিডিও আমডাঙা থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সামিউলকে। জানা যায়, বরাবর নিজেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তা বলে ভুয়ো পরিচয় দিতে এসআইআরের কাজে কারচুপি করার লক্ষ্য ছিল তার। কমিশনের আধিকারিকদের ভুয়ো সই, কমিশনের ভুয়ো লোগো-সহ ভুয়ো লেটারহেড উদ্ধার হয়েছে সামিউলের কাছ থেকে। এসবের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসলে এর নেপথ্যে কে বা কারা দায়ী, সেসব খুঁটিনাটি তথ্য বের করতে মরিয়া পুলিশ।