গোবিন্দ রায়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি বসানো এবং নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ। রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থানে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্যকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হলফনামা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেনের বেঞ্চ জানিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার মানদণ্ড নিয়ে কোনওরকম শিথিলতাতে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্যের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। কেন এতদিনে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, গত কয়েক বছরে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যার জেরে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার মাঝে আবার চলতি বছরের মার্চে ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও উপাচার্য। অভিযোগ, ছাত্রদের বিক্ষোভে জখম হন মন্ত্রী ও উপাচার্য। দুই ছাত্রনেতাও জখম হন। ঘটনার জল গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তবে তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা এগোতে থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বৈঠকে বসতে বলা হয়। ওই বৈঠকের পরই নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মামলার সব পক্ষকে ওই রিপোর্টের কপি খতিয়ে দেখতে হবে। কোন আপত্তি আছে কিনা তা আগামী সপ্তাহের শুনানিতে জানাতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দেশ, রাজ্যের অনুমোদিত অর্থ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।