‘মানুষ লোভী ভাবুক চাই না’, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ না পেয়ে সাফাই চিরাগের
বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
পাটনা ও বেতিয়া: কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! বিহারের ভোটে নজরকাড়া ফল করেছেন তরুণ তুর্কি নেতা চিরাগ পাসোয়ান। এনডিএ শরিক হিসেবে তাঁর দল এলজেপি (রামবিলাস) ২৯ আসনে লড়ে জয়ী হয়েছে ১৯টিতে। তবে তা সত্ত্বেও উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার সুযোগ হচ্ছে না তাঁর। আবার চিরাগ সফল হলেও ভোটের ময়দানে ভরাডুবি হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। মিডিয়ার ফোকাসে থাকা সত্ত্বেও অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে তাঁর দল জনসুরাজ পার্টি। প্রথমবার ভোটে লড়া এই ভোটকুশলীর দলের ঝুলি শূন্য। বিহারের মানুষের মন জয়ে ব্যর্থ হলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ছিল ‘পিকে’র। তা না করে আপাতত একদিনের ‘মৌনব্রত’য় তিনি ‘প্রায়শ্চিত্তে’র কাজ সারলেন। পশ্চিম চম্পারণের গান্ধী আশ্রমে সেই ‘মৌনব্রত’ শেষ করেই নবগঠিত নীতীশ কুমার সরকারকে তুলোধোনা করলেন।
ভোটের ময়দানে সুদিন ফিরলেও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ যে চিরাগের নাগালে আসছে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবিষয়ে এদিন পাটনায় রামবিলাস-পুত্রের প্রতিক্রিয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি তুলে রাজ্যের মানুষের নজরে তিনি ‘লোভী’ নেতা হতে চান না। দলের জন্য দু’টি মন্ত্রিপদ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিরাগ। যদিও নিন্দুকরা কটাক্ষ করে বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘হনুমান’ বলে নিজেকে ঘোষণা করেও লাভের লাভ কিছুই হল না। তাই দুর্দান্ত রেজাল্ট করেও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে এখন ‘আঙুর ফল টক’ গোছের কথা বলছেন তিনি। আর ভরাডুবির ধাক্কা সামলাতে প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ, ‘বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়া নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভা দুর্নীতিগ্রস্ত ও অপরাধীতে ভরা। আমাকে বলতেই হচ্ছে, এই মন্ত্রিসভা বিহারের মানুষের গালে চপেটাঘাত। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্তকে মন্ত্রী করা হয়েছে, তা ক্ষতে নুন ঢালার শমিল। এর অর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিহারের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে কারও কোনও মাথাবেথা নেই।’ এবারের ভোটে বিহার মুখ ফেরালেও ময়দান ছাড়ছেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘পিকে’।